• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১, ০৭:৫৯ পিএম
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

খবর প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ হয়ে পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু।

সৈকত আফরোজ আসাদ সময় টিভি, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাবনা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাবনা মেইল টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। 

জানা যায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যার পর মুঠোফোনে সাংবাদিক সৈকত আফরোজ আসাদকে অবহিত করার পর পাবনার গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারেন। 

এদিকে মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাবনার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সিনিয়র সহসভাপতি মীর্জা আজাদ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি আব্দুল মতীন খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক কাজী বাবলা, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি পাবনার সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামসহ অন্য গণমাধ্যমকর্মীরা।

মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকরা বিবৃতিতে বলেন, সাবেক এমপি আরজু খন্দকার বিরুদ্ধে যেকোনো সংবাদ প্রকাশ হলেই তিনি সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। অনৈতিক প্রস্তাবের মাধ্যমে সংবাদ বন্ধ করার চেষ্টা করেন, তাতে রাজি না হলে মামলা-হামলারও ভয় দেখান। সেই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করে অসত্য অভিযোগে পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে তিনি অবস্থান নিয়েছেন।

যুক্ত বিবৃতিতে সাংবাদিকরা আরও বলেন, খন্দকার আরজু যে সংবাদটি উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন, তা প্রকাশের আগে সাংবাদিকতার নীতিমালা মেনে তার বক্তব্য নিয়ে ওই সংবাদটিতে তা প্রকাশ ও করা হয়েছে। দেশের মূলধারার অধিকাংশ গণমাধ্যমগুলোতে একই সংবাদ প্রকাশিত হলেও সম্পূর্ণ আক্রোশবশত কেবল পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদকের বিরুদ্ধেই তিনি মামলাটি করেছেন। 

এ বিষয়ে পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান বলেন, অবিলম্বে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাটি প্রত্যাহার না হলে জেলার সব সাংবাদিকদের সঙ্গে0 নিয়ে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

চলতি বছরের গত ৮ মার্চ বেড়া উপজেলার নাটিয়াবাড়িতে একটি অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে অবৈধ অস্ত্র রাখায় দুজনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে পরদিন বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে ‘সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর ভাতিজার বাড়িতে অভিযান’ চালানো হয়েছে উল্লেখ থাকায় সংক্ষুব্ধ হন সাবেক ওই সাংসদ।

Link copied!