সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় স্যানিটারি পণ্যের পসরায় ডেঙ্গু মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিকে) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের একটি দল এ সময় উপস্থিত ছিল।
উপজেলার কীন ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় খোলা আকাশের নিচে স্যানিটারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে রাখার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া খোলা স্থান থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংসে এসব স্যানিটারি পণ্য সরিয়ে নিতে সময় বেঁধে দেন।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “নগরজুড়ে এডিস মশার উৎস চিহ্নিত ও ধ্বংসে অভিযান চলমান থাকবে।”
বাসাবাড়ির ভেতরে যাতে ডেঙ্গু মশার উৎস না থাকে সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত জনজীবনে ডেঙ্গু যাতে হানা দিতে না পারে, সে জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিসিক মেয়র বলেন, “কোনোভাবেই বাসাবাড়ির ছাদ, ফুলের টব, এসির জমানো পানি, নারিকেলের খোসা, টায়ার-টিউব কিংবা টিনের কৌটা, নির্মাণাধীন ভবন, সরকারি-বেসরকারি ভবনের ছাদ ইত্যাদি স্থানে পরিষ্কার পানি যেন জমে না থাকে। কারণ, এসব স্থান এডিস মশার প্রজননের জন্য আদর্শ।”
এছাড়া এডিস মশার উৎসের সন্ধান পেলে তাৎক্ষণিক সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া নগরের মেন্দিভাগ এলাকার ঈশিতা রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বিক্রির জন্য ভোক্তা অধিকার আইনে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।



































