জামালপুরে সরকার নির্ধারিত মূল্যের অনেক কমে বিক্রি হচ্ছে কোরবানি পশুর চামড়ার মূল্য। ষাঁড়ের চামড়ার কিছুটা দাম পাওয়া গেলেও, ছাগলের চামড়া কিনতে চাইছে না কেউই। ফলে কেউ কেউ মাটিতে পুঁতে ফেলছেন চামড়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জে চামড়ার ক্রেতা নেই। প্রতিটি ষাঁড় গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা বিক্রি হলেও বিপত্তি ঘটেছে খাসির চামড়াতে। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এ চামড়ার চাহিদা না থাকায় মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে। সরকার প্রতি ফুট চামড়ার মূল্য বাড়ি দাম নির্ধারণ করলেও মাঠ পর্যায়ে তা কার্যকর হচ্ছে না।
চামড়া বাজারে কয়েক বছর ধরে এই দুরবস্থা। কোরবানি ঈদে গরুর চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। একটি চামড়া ২০০ থেকে প্রকার ভেদে ৩০০ টাকার বেশি বিক্রি করাও দায় হয়ে পড়েছে। ছাগলের চামড়া কোনো দামেই বিক্রি হচ্ছে না।
শহরের সর্দারপাড়ার কাফি পারভেজ জানান, পাঁচটা বাজতে শুরু করেছে। এখনো চামড়া পড়ে আছে। কেউ জিজ্ঞেসও করে না।
শহরের শান্তিবাগ এলাকার প্রভাষক তারিকুল ইসলাম বলেন, “৯০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনে কোরবানি দিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো কেউই চামড়া কিনতে আসেনি। আগে এ ধরনের চামড়া ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করতাম। অবশেষে কোন ক্রেতা না পেয়ে মাদরাসায় দিয়ে এলাম।”
নান্দিনার ছাইদুর রহমান জানান, শহরের চেয়ে গ্রামের অবস্থা আরো খারাপ। ক্রেতা নেই। গরুর চামড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকাতে অনীহা। খাসির চামড়ার দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। মাংস ছাড়ানোর পর চামড়া যেখানে রেখেছে সেখানেই পড়ে রয়েছে।
গ্রামের অবস্থা আরো করুন। প্রতিটি গাভীর চামড়া বিক্রি করা হয়েছে শুধু মাত্র ৭০ টাকায়। খাসির চামড়া কেউ নেয়নি। দুর্গন্ধ ছড়ানোর আশঙ্কায় মাটিতে পুঁতে ফেলার কথা জানালেন সরিষাবাড়ির আওনা ইউপির ঘুইঞ্চার চরের আব্দুর রাজ্জাক।