• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩০, ১৮ রজব ১৪৪৬

পৃথিবীর উত্তরে শেষপ্রান্তে নতুন দ্বীপ!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১, ০৩:৩১ পিএম
পৃথিবীর উত্তরে শেষপ্রান্তে নতুন দ্বীপ!

পৃথিবীর উত্তরে নতুন দ্বীপের আবিস্কার করলেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। নতুন দ্বীপে পৌঁছে রীতিমতো  চমকে উঠেছেন তারা! যে দ্বীপটিকে অন্তিমতম দ্বীপ হিসাবে ধরে নেওয়া হয়েছিল তার থেকেও উত্তরে আরও একটি দ্বীপের অবস্থান রয়েছে। যার সম্পর্কে অবগত ছিলেন না বিজ্ঞানীরা। তবে   দ্বীপটির নাম প্রকাশ করা হয়নি।

পৃথিবীর সবচেয়ে অন্তিততম দ্বীপ ধরা হতো ওদাক দ্বীপকে। ওদাক হলো পৃথিবীর 'নর্থমোস্ট' ভূখণ্ড। বিশ্বের উত্তরের দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডে অবস্থিত এই দ্বীপ। ১৯৭৮ সালে দ্বীপটির সন্ধান পায় বিজ্ঞানীরা। এর পথ ধরেই চলতি বছর জুলাইয়ে একদল গবেষক ওই দ্বীপের নমুনা সংগ্রহের উদ্দেশে রওনা করেন।

ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রিনল্যান্ড আর্কটিক অঞ্চলে বিশাল এক স্বায়ত্তশাসিত এলাকা। এখানে  রয়েছে অনেকগুলো দ্বীপ। এরই একটি ওদাক দ্বীপ। যা পৃথিবীর সর্ব উত্তরের দ্বীপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।

ওদাক দ্বীপের থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে যান ডেনমার্ক ও সুইজারল্যান্ডের একদল গবেষক।  হেলিকপ্টার করে দ্বীপটিতে পৌছান তারা। কর্দমাক্ত এই দ্বীপটিতে নেমে অবাক হন। ওদাক দ্বীপের সঙ্গে কোনও মিলই খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

গবেষকেরা বলেছেন, এর আগে এই দ্বীপে মানুষের পা পড়েনি। এই দ্বীপটিই উত্তর মেরুর সবচেয়ে নিকটবর্তী ভূখণ্ড। যার দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার, প্রস্থে ৩০ মিটার।

গবেষক দল আর্কটিক অঞ্চলের এলাকা অবস্থান চিহ্নিতকরণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখনই তারা জানতে পারেন, ওটি মোটেই ওদাক দ্বীপ নয়! বরং তারা ওদাক দ্বীপ থেকে আরও ৮০০ মিটার উত্তরে চলে এসেছেন!

ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেনের গ্রিনল্যান্ডে অবস্থিত আর্কটিক স্টেশনের প্রধান গবেষক মর্টেন রাশখ বলেন, “আমরা দেখলাম, যে জমিতে আমরা নেমেছি তা নুড়িপাথর আর কাদায় পরিপূর্ণ। দ্বীপটির চারপাশে শুধুই বরফ আর বরফ। এটি মানুষের বসবাসের অনুকূলে নয়।“

নিজের অভিজ্ঞতারা কথা জানিয়ে মর্টেন রাশখ বলেন, “বিশ্বের সর্ব উত্তরের দ্বীপটি আবিষ্কার করে ফেলেছি আমরা। এর মানে ওদাক দ্বীপটি এখন আর পৃথিবীর সর্বোত্তর বিন্দু নয়।“

নতুন এই দ্বীপ আবিস্কারের আনন্দ যেমন রয়েছে তেমনি শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই  দ্বীপ নিয়ে আশাবাদী নন তারা। কারণ বিরূপ আবহাওয়ায় দ্বীপটি অচিরেই হারিয়ে যেতে পারে।

 

সূত্র: বিবিসি

Link copied!