• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
ডিপিএল ২০২২

অনিকের বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর গাজীর জয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২২, ০৭:২৫ পিএম
অনিকের বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর গাজীর জয়
ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেটে সম্ভাবনায় বোলার হিসেবে ধরা হতো কাজী অনিককে। ২০১৮ সালের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়ে নজরে এসেছিলেন এই বোলার। কিন্তু ক্রিকেটের বাইরে বিশৃংখল জীবনযাপনের কারণে নিষিদ্ধ হতে হয় এই পেসারকে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে আবারও বল হাতে নিজেকে মেলে ধরছেন অনিক।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) প্রথম রাউন্ডে ৩ উইকেট নেওয়ার পর আজ দ্বিতীয় রাউন্ডে একাই নেন ৬ উইকেট। মূলত তার বোলিং তোপে ৬ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নবাগত সিটি ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল গাজী। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অনিকের বোলিং তাণ্ডবে ১৯৯ রানেই গুটিয়ে যায় সিটি ক্লাব। ইনিংস মাত্র ৩০ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন অনিক। পরে রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার মেহেদী মারুফের ৯০ ও অধিনায়ক আকবর আলীর অপরাজিত ২৭ রানের কল্যাণে ৬ উইকেটের সহজ জয় পায় গাজী গ্রুপ। 

দিনের শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার তৌফিক খানের উইকেট হারায় সিটি ক্লাব। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৪৭ রানে জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন কমল আর মঈনুল। ইনিংসের ১১তম ওভারে ২৬ রানে থাকা কমলকে ফিরিয়ে এই পার্টনারশিপ ভাঙেন অনিক। দুই ওভার পর সিটির অধিনায়ক জাওয়াদ রুয়েনকেও ফেরার তিনি। এরপর একে একে মঈনুল (২৭), আশিক (৫১), আমিনুর (১) ও আব্দুল হালিমকে (০) আউট করেন অনিক। 

ইনিংস ও নিজের শেষ ওভারেই দুই উইকেট নেন অনিক। সবমিলিয়ে ৯.৩ ওভারে ৩ মেইডেনসহ ৩০ রান দিয়ে একাই ৬ উইকেট নেন এই পেসার। লিস্ট এ ক্যারিয়ারে এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এতেই ইনিংসের শেষ ওভারে ১৯৯ রানে গুটিয়ে যায় সিটি ক্লাব।

২০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার মেহেদী মারুফে ব্যাটে ভালো শুরু পায় গাজী। তবে আরেক ওপেনার প্রান্তিক নাবিল ফেরেন ১০ রানেই। দ্বিতীয় উইকেটে ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন মেহেদী। এর মাঝেই ৬৮ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন তিনি। পরে ফরহাদ ২৫ রানে ফিরলে আল আমিন জুনিয়র আউট হন রানের খাতা খোলার আগেই। 

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মধ্যে সেঞ্চুরির দিকে হাঁটছিলেন মেহেদী। তবে ব্যক্তিগত ৯০ রানের সময় চোট পেয়ে উঠে যান তিনি। ১১৩ বলের ইমিংসটি সাজান ৮টি চার ও ৩টি ছয় দিয়ে।

পরে মাহমুদুল হাসানের ২৩ রানের সঙ্গে অধিনায়ক আকরবর আলীর অপরাজিত ২৭ এবং জোহাইব খানের ১৮ রানের সুবাদে ২০ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় পেয়ে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

লিগের চলতি আসরে গাজীর এটি প্রথম জয়। অন্যদিকে নবাগত সিটি ক্লাবের টানা দ্বিতীয় হার।

খেলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!