• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারতের লঙ্কা বধের দিনে আয়ারল্যান্ডকে হারালো জিম্বাবুয়ে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম
ভারতের লঙ্কা বধের দিনে আয়ারল্যান্ডকে হারালো জিম্বাবুয়ে

প্রথম ম্যাচে জিতে আগেই এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাককে ছয় উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজটাও বাগিয়ে নিলো রোহিত শর্মার দল।

অন্যদিকে একই দিনে জিম্বাবুয়ের জার্সিয়ে স্মরণীয় অভিষেক হয়েছে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা গ্যারি ব্যালেন্সের। তার অভিষেকের দিনে আয়ারল্যান্ডকে পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গেলো জিম্বাবুয়ে।

টস জিতে সিরিজে ফেরার ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে শুরুতেই উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কুশল মেন্ডিস ও নুয়ানিন্দু ফার্নান্দ দুর্দান্ত জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন।

দলীয় ১০২ রানে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে কুশল ফেরার মাত্র এক রানের ব্যবধানে ব্যক্তিগত ৫০ রানে ফিরে যায় ফার্নান্দও। এরপরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপ।

একের পর ব্যাটার উইকেটে এসেই ফিরে যান দ্রুত। শেষদিকে ওয়াল্লেগে ও হাসারাঙ্গা ব্যাট হাতে লড়াই করলেও বাকিরা উইকেটে থিতুও হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১০.২ ওভার বাকি থাকতে ২১৫ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

লক্ষ্য ছোট হলেও তাড়া করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়েছিল ভারতও। দলীয় ৩৩ রানে রোহিত শর্মা ফেরার মাত্র আট রানের ব্যবধানেই ফিরে যান আরেক ভারতীয় ওপেনার কে এল রাহুল।

এরপর দলীয় ৬২ রানে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বিরাট কোহলিও ফিরে গেলে আরও বিপদে পড়ে ভারত। প্রথম ম্যাচে ১১৩ রান করা কোহলি এই ম্যাচে করতে পেরেছেন মাত্র চার রান।

৬২ রানেই তিন উইকেট হারানো দলকে প্রাথমিক চাপ থেকে মুক্ত করেন শ্রেয়াশ আয়ার ও রাহুল। তবে চাপ সামলানোর পর আয়ার ফিরে যান দলীয় ৮৬ রানে। লঙ্কান বোলার রাজিথার বলে আউট হওয়ার আগে আয়ারের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান।

এরপর হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে আবারও জুটি গড়েন রাহুল। তবে এই জুটিও ম্যাচ শেষ করতে পারেনি। দলীয় ১৬১ রানে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে হার্দিক ফিরলে ভাঙে তাদের ৭৫ রানের জুটি।

অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে এরপর স্কোরবোর্ডে আরও ৩০ রান যোগ করেন রাহুল। দলীয় ১৯১ রানে অক্ষর ফিরলে কুলদীপ যাদবকে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন রাহুল।

এদিকে অন্যদিকে ঘরের মাঠে প্রথমে বোলিং করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই আয়ারল্যান্ডের তিন উইকেট তুলে নিয়ে দুর্দান্ত শুরু পায় জিম্বাবুয়ে। ১০ রানের ব্যবধানে হ্যারি টেক্টরকেও তুলে নেন জিম্বাবুইয়ান বোলার রায়ান বার্ল।’

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ডের কোনো ব্যাটারই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে মাত্র ১১৪ রানেই অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে তিন উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার রায়ান বার্ল। এছাড়া সমান দুই উইকেট করে নিয়েছেন টেন্ডাই চাতার, এনগ্রাভা ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আট রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর গ্যারি ব্যালেন্সকে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন ওয়েসলি মাধেভারে।

তবে দলীয় ৪৩ রানে মাধেভারে ফেরার পর ৭১ রানে ফিরে যান ব্যালেন্সও। এরপর ৯০ রানে বার্লও ফিরে গেলেও অবশ্য জয় পেতে সমস্যা হয়নি জিম্বাবুয়ের। উইকেটরক্ষক ব্যাটার মাধান্দেকে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দিয়ে জিম্বাবুয়ের জয় নিশ্চিত করেন শেন উইলিয়ামস। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস আসে ব্যালেন্স ও উইলিয়ামসের ব্যাট থেকে।

Link copied!