প্রথমে বোলিং করে রেজাউর রহমান রাজার রাজকীয় বোলিংয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে মাত্র ৮৯ রানেই আটকে রেখেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারালেও মোটেও চাপে পড়তে হয়নি সিলেটকে। নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হোসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৭.৩ ওভার বাকি থাকতেই আট উইকেটের ব্যবধানে চট্টগ্রামকে হারিয়েছে সিলেট।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বন্দর নগরীর দলটি। রান আউট হয়ে ফিরে যান ওপেনার মেহেদী মারুফ। মাত্র সাত রানের ব্যবধানে চট্টগ্রামের আরেক ওপেনার রাসুলিকে ফিরিয়ে দেন সিলেটের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির।
বিপিএলে এবারই প্রথম অধিনায়কত্ব করছেন চট্টগ্রামের শুভাগত হোম। তবে অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচে মাত্র এক রানেই ফিরে যান তিনি।
অধিনায়ক ফেরার পর আফিফ হোসেনকে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আল আমিন হোসেন। দলীয় ৪৪ রানে তিনি ফিরে গেলে ভেঙে যায় তাদের প্রতিরোধ।
এরপর তিন রানের ব্যবধানে উইকেটরক্ষক ব্যাটার উসমান খানও ফিরে রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম। নতুন ব্যাটার হিসেবে ব্যাটিং করতে এসেছেন প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিপিএল খেলতে আসা উন্মুক্ত চাঁদ।
তবে বিপিএলে শুরুটা ভালো হলো না তার। দলীয় ৬২ রানে ব্যক্তিগত মাত্র ৫ রানে তাকে ফিরিয়ে দেন রাজা। এরপর ১২ রানের ব্যবধানে জোড়া উইকেট হারিয়ে খাঁদের কিনারায় চলে যায় চট্টগ্রাম।
উইকেটের একপ্রান্ত সামলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন আফিফ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। দলীয় ৬৭ রানে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ফেরার পর ৭৪ রানে ফিরে যান তিনিও।
এরপর শেষের দিকে ব্যাট হাতে আর কেউ ঝড়ো ইনিংস খেলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে সিলেটকে ৯০ রানের লক্ষ্যে দিয়েছিল চট্টগ্রাম।
মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ রানেই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার কলিন অ্যাকারম্যানকে হারায় সিলেট। তবে শুরুতে উইকেট হারালেও শান্ত এবং জাকিরের ব্যাটিংয়ে শুরু থেকে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়েছে সিলেটের রানের চাকা।
দু’জনের ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে সিলেটের রানের খাতায় যোগ হয় ৪১ রান। পাওয়ার প্লে শেষেও রানের চাকা সাবলিল গতিতে আগাচ্ছিল। দলীয় ৭৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সিলেট।
ব্যক্তিগত ২১ বলে ২৭ রানে জাকির আউট হলে ভাঙে তাদের ৬৩ রানের দুর্দান্ত জুটি। তবে জাকির ফিরে গেলেও অন্যপ্রান্তে শান্ত ছিলেন অবিচল।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৪১ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন শান্ত। অন্যপ্রান্তে সাত বলে পাঁচ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। সিলেট যখন জয়ের বন্দরে, তখনও ইনিংসে বাকি সাত ওভার তিন্ন বল