রিশাদের অলরাউন্ডিং নৈপূণ্যে শাইনপুকুরের জয়

ফের ঝলক দেখালেন তরুণ ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন। লেগস্পিনার হয়েও শেষের দিকে নেমে ব্যাট হাতে ছক্কার পর ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) তা পুনরায় করলেন রিশাদ।

টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে ৭ ছক্কা হাঁকানোর পর ওয়ানডেতে ৪ ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৪৮ রান করেছিলেন রিশাদ।

সোমবার বিকেএসপিতে ডিপিএলের সুপার লিগে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ব্যাট ও বল হাতে দারুণভাবে জ্বলে উঠেন শাইনপুকুরের রিশাদ। লো স্কোরিং ম্যাচে রিশাদের একার চৌকশ নৈপুণ্যেই ১৩ রানের জয় পেয়েছে তার দল।

শাইনপুকুরের পুঁজি ছিল খুব কম, মাত্র ১৩৮ রান। এতে রিশাদের অবদান ছিল ৩৩। ২৬ বলে ৪টি বিশাল ছক্কা ও  এক বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান রিশাদ। তার আগে ওপেনার তানজিদ তামিম খেলেন ৫১ বলে ৪২ রানের ইনিংস।

গাজী গ্রুপের আব্দুল গাফ্ফার সাকলাইন ও হুম্মা হাবিব যথাক্রমে ২১ ও ২৩ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট পান।  

সামান্য পুঁজি নিয়েও শেষ পর্যন্ত জিতে যায় শাইনপুকুর। সে জয়ের রূপকার রিশাদ। ৮ ওভারে ৩১ রানে ৪ উইকেট দখল করেন এই লেগস্পিনার।

গাজী গ্রুপের মারকুটে ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান রিশাদের বলেই ফিরে যান। তিনি ১৯ বলে সমান ৪টি করে  ছক্কা ও বাউন্ডারিতে ৪৪ রান তোলেন। তাকে ফিরিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেন রিশাদ। পরে সাব্বির হোসেন শিকদার, প্রীতম কুমার ও মঈন খানও আউট হন লেস্পিনার রিশাদের ঘূর্ণিতে। সাথে দুই বাঁহাতি স্পিনার অভিজ্ঞ আরাফাত সানি (৩/৪৫) ও হাসান মুরাদ (২/২১) জ্বলে উঠলে মাত্র ১২৫ রানেই অলআউট হয় গাজী গ্রুপ।

ব্যাটে-বলে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরা হন রিশাদই ।

দিনের অন্য দুই ম্যাচে আবাহনী লিমিটেড ৫ উইকেটে প্রিমিয়ার ব্যাংককে এবং ঢাকা মোহামেডান একই ব্যবধানে শেখ জামালকে পরাজিত করে।