চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। নির্দিষ্ট করে বললে বাংলাদেশের বিপক্ষে আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আলোচনার খোরাক জোগাচ্ছে প্রায় প্রতি ম্যাচেই। সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচেও অন্যথা হয়নি।
টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে বিতর্কিতভাবে আউট দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ম্যাচের তৃতীয় আম্পায়ার। প্রথমে অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দিলে সঙ্গে রিভিউ নেন সাকিব।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল প্যাডে লাগার আগে সাকিবের ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। এর মানে ক্রিকেটে আইন অনুযায়ী এটা লেগ বিফোর উইকেট আউট হবে না।
এমনকি মাঠে থাকা জায়ান্ট ইস্ক্রিনে রিপ্লে দেখে পাকিস্তানি ফিল্ডাররাও নিজেদের জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। তখন আচমকাই সাকিবকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার।
আউট দেখে চূড়ান্ত অবাক হওয়া সাকিব বেশ অনেকটা সময় মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাতে অবশ্য কাজ কিছুই হয়নি! তবে সাকিবের আউটের পর সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের বেশ কিছু ক্রিকেটার ও সাংবাদিককে দেখা গেছে অসন্তোষ প্রকাশ করতে।
ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক জয় ভট্টাচার্য বলেন, “সাকিবের এলবিডাব্লিউ সিদ্ধান্ত দেখে অবাক হয়েছি। ব্যাট হাওয়াতে ছিল এবং আল্ট্রা এজ স্পাইকও দেখিয়েছে। বাংলাদেশি সমর্থকরা এটা বিশ্বাস করতে পারবে না।”
সাকিবের আউট দেখে সন্তষ্ট হতে পারেননি পাকিস্তানের ক্রীড়া সাংবাদিক স্যাজ সাদিকও! তিনি বলেন, “এটা ম্যাচের বড় মুহূর্ত! মনে হচ্ছে সাকিবের ব্যাটে বল লেগেছে। পুরো টুর্নামেন্টেই আম্পায়ারিং ভালো ছিল না।”
ভারতের সাবেক ক্রিকেট স্যায় বদ্রিনাথ বলেন, “এটা নিশ্চিট নট আউট। সাকিব নিশ্চয়ই আক্ষেপ করবেন।”
শুধু সাংবাদিক নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাকিবের বিতর্কিত আউট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। আর কে নামে একজন বাংলাদেশি টুইট করেন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার কোথায়? ব্যাট এবং বলের সংযোগ হওয়ার পরও আউট দেওয়া হলো!
ওয়াকার আহমেদ নামে একজন পাকিস্তানিও সাকিবের আউট নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন। নিজের টুইটার একাউন্টে তিনি লিখেন, “আমি একজন পাকিস্তানি, কিন্তু এটা কখনোই আউট নয়। বাংলাদেশের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।”
হ্যারভি নামের একজন ভারতীয় তো সরাসরি আইসিসির দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে আইসিসি ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল চায়। এটা কিভাবে আউট হয় যেখানে বল ব্যাটে লেগেছে!”