• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শচীন-কোহলির পরেই সাকিব


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৩, ০৪:২০ পিএম
শচীন-কোহলির পরেই সাকিব

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের পথচলা ২০০৬ সালে। ১৭ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সাকিবের অর্জন কম নেই। আফগানদের বিপক্ষে শেষ টি-২০ সিরিজেও হয়েছেন ম্যাচ ও সিরিজ সেরা। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফরম্যাট মিলে ৪২ বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন। আর সিরিজ সেরা হয়েছেন ১৭ বার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ বার সিরিজ সেরা হওয়া সাকিবের ওপরে রয়েছেন ভারতীয় লিজেন্ড শচীন টেন্ডুলকার ও বিরাট কোহলি। ভারতীয় এই দুই ক্রিকেটারের নামের পাশে আছে ২০টি করে সিরিজ সেরার পুরস্কার।  

অবশ্য সব ফরম্যাট মিলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারের তালিকায় টপ ৫ নেই দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার। আফগান সিরিজ শেষ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতে ১১ বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন। টেস্টে হয়েছেন ৬ বার আর ওয়ানডেতে ২৫ বার। ৪২ বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে সাকিব আছেন তালিকার ৮ নম্বরে। তার সঙ্গে এই তালিকায় রয়েছেন ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান লারা। এই তালিকায়ও সবার ওপরের দুই নাম টেন্ডুলকার (৭৬) ও কোহলি (৬৩)।

টি-২০তে সাকিব আল হাসান ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছে ১১ বার। এই ফরম্যাটে ম্যাচ সেরার তালিকায় ৪ এ থাকা সাকিবের ওপরে রয়েছেন রোহিত শর্মা, মোহাম্মদ নবী ও বিরাট কোহলি। ১২ বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া রোহিতকে পেছনে ফেলে টপ ৩এ যাবার সুযোগ রয়েছে সাকিবের সামনে।

টি-২০তে সিরিজ সেরার দৌড়ে সাকিব রয়েছেন ২এ। সাকিবের নামের পাশে রয়েছে ৫টি শিরোপা। তার সঙ্গে যৌথভাবে এই পজিশনে রয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ৭ বার এই পুরস্কার পাওয়া বিরাট কোহলি রয়েছেন তালিকার সবার ওপরে।    

ওয়ানডে ফরম্যাটে ম্যাচ সেরার পুরস্কারের তালিকায় ৯ নম্বরে থাকলেও সাকিব সবার ওপরে থাকা  শচীনের চেয়ে পিছিয়ে আছে ৩৭টি ট্রফি থেকে। এই ফরম্যাটে সিরিজ সেরার তালিকায় সাকিব রয়েছে ৬ নম্বরে। ৭ বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা সাকিবের ওপরে ৫ ও ৪ এ রয়েছেন ক্রিস গেইল ও শন পলক। যাদের নামের পাশে রয়েছে ৮ ও ৯টি করে সিরিজ সেরার পুরস্কার। যাদের পেছনে ফেলে নিজের অবস্থান ওপরে নেওয়ার একটা সুযোগ থাকবে সাকিব আল হাসানের সামনে। এই তালিকায়ও সবার ওপরে শচীন টেন্ডুলকার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি দেশের ক্রিকেটে ম্যাচ সেরাদের হিসাবটা সাকিবময়। শুধু টেস্টেই ম্যাচ সেরায় সাকিবের পাশে আছেন মুশফিক (৬)। কিন্তু সাকিব যেখানে পাঁচবার সিরিজ সেরা হয়েছেন, সেখানে মুশফিক টেস্টে কখনো সিরিজের সেরা হতে পারেননি। মুমিনুল চারবার ম্যাচসেরা হয়েছেন। আশরাফুল ও তামিম সেরা হয়েছেন তিনবার করে।

টি-টোয়েন্টিতেও সাকিবের ধারে কাছে কেউ নেই। তার নামের পাশে রয়েছে ১১ বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার। দ্বিতীয় সেরা মাহমুদউল্লাহ পাঁচবার ম্যাচের নায়ক হয়েছেন। সৌম্য ও মুশফিক হয়েছেন চারবার। নাসুমসহ আরও বেশ কয়েকজন তিনবার ম্যাচ সেরা হয়েছেন।    

ওয়ানডেতে সিরিজ জেতানোয় সাকিবের কাছাকাছি আছেন তামিম ও মুশফিক। সাকিব সাতবার ওয়ানডেতে সিরিজ সেরা হয়েছেন। বাকি দুইজন সেরা হয়েছেন ছয়বার করে। তবে ম্যাচ জেতানোয় সাকিবের চেয়ে অনেক পিছিয়ে তামিমরা। সাকিব হয়েছেন ২৫ বার ম্যাচ সেরা, তামিম ম্যাচ সেরা হয়েছেন ১৬ বার, মাশরাফি ১২ বার। মুশফিক ১০ বার ম্যাচ জেতানোর স্বীকৃতি পেয়েছেন। শাহরিয়ার নাফীস ৭ বার হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

Link copied!