চলতি বছরে আইসিসির সফরসূচি অনুযায়ী, আফগানদের বিপক্ষে একটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল আইরিশদের। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ বাতিল করেছে আয়ারল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পর তৃতীয় দল হিসেবে আয়ারল্যান্ড আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলছে না। যদিও ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রমের দাবি, এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং অর্থনৈতিক কারণে নেওয়া হয়েছে।
ডিউট্রম বলেছেন, “আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি আর্থিক কারণে করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের স্বল্পমেয়াদি বাজেট–সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে এবং বোর্ডের কৌশলগত লক্ষ্য অনুযায়ী বিনিয়োগের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।”
তবে আফগানিস্তানের জন্য এটি বড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ, মাঠের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত হলেও মাঠের বাইরে ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে চাপে আছে দেশটি। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে মেয়েদের খেলাধুলার পাশাপাশি পড়ালেখা, এমনকি চিকিৎসাসেবার শিক্ষা নেওয়াও নিষিদ্ধ।
এদিকে আফগানিস্তান আইসিসির পূর্ণ সদস্য, আর এই সদস্যপদ পাওয়ার একটি শর্ত হলো মেয়েদের দল থাকতে হবে। এসব জটিলতায় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দল আফগানদের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি সম্প্রতি আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
এই সিরিজটি না হলেও আয়ারল্যান্ডে পুরুষ ক্রিকেট দল মে ও জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো আয়ারল্যান্ডে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড মঙ্গলবার (১১ মার্চ) তাদের আন্তর্জাতিক সূচি প্রকাশ করেছে। সেখানে এই দুটি সিরিজের কথা উল্লেখ আছে।
২০১৭ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়ার পর আয়ারল্যান্ড এখন পর্যন্ত ১০টি টেস্ট খেলেছে, যার মধ্যে মাত্র ২টি নিজেদের মাটিতে হয়েছে। আয়ারল্যান্ড ২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয় পায়, এরপর গত বছর ঘরের মাঠে এবং সম্প্রতি জিম্বাবুয়েতে আরও দুটি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে আইরিশরা।











-20251116170513.jpg)



























