তুরস্কে খেলোয়াড়দের ওপর প্রতিপক্ষ সমর্থকদের হামলা

তুরস্কের শীর্ষ লিগের এক ম্যাচে পরাজিত দল ত্রাবজনস্পোরের সমর্থকরা মাঠে ঢুকে ফেনেরবাচের খেলোয়াড়দের ওপর আক্রমণ করেছেন। ফেনেরবাচে ৩-২ গোলে ম্যাচে জয়ের পরপরই মাঠে ঢুকে যায় স্বাগতিক ত্রাবজনস্পোরের সমর্থকরা। খবর এএফপির

তুর্কি পুলিশ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করেছে। মারধরের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে দেখা যায়, প্রতিরোধ করতে গিয়ে হামলাকারী সমর্থকদেরও ঘুষি-লাথি মারছেন ফেনেরবাচে দলের ফুটবলাররা। এক সমর্থক কর্নার ফ্লাগ তুলে নিয়ে ফেনেরবাচের খেলোয়াড়কে হুমকি দেন। আরেকজন এসে ঘুষি মারেন গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচের মুখে।

রোববার তুরস্কের সুপার লিগের ম্যাচে রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পরই এই ঘটনা ঘটে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন। তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন এ ঘটনাকে ‘মেনে নেওয়ার মতো নয়’ বলে উল্লেখ করেছে। 

তুরস্কের ফুটবলে চলতি মৌসুমে এমন ঘটনা প্রথম নয়। গত ডিসেম্বরে আঙ্কারাগুকু ও রিজেস্পোর ম্যাচে রেফারি উমুত মেলেরকে মাঠে আক্রমণের পর এক সপ্তাহ লিগ স্থগিত ছিল। ওই ঘটনায় হামলাকারী আঙ্কারাগুজু ক্লাবের প্রধান ফারুক কোজাকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও। তিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এমন ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে তুর্কি ফুটবল কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন ফিফা সভাপতি।

ম্যাচটিতে ওই ঘটনা ঘটে যখন ৮৭ মিনিটে বাতশুয়াইয়ের গোলে পূর্ণ পয়েন্ট নিশ্চিত হয়ে ফেনেরবাচের। আর এই জয়ের ফলে তুরস্কের প্রধান ফুটবল লিগে শীর্ষে থাকা গ্যালাতাসারের চেয়ে মাত্র দুই পয়েন্টে ব্যবধান কমিয়ে এনেছে দলটি। ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন ত্রাবজনস্পোর পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে।