• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
বিপিএল

আজম খানের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ খুলনার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম
আজম খানের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ খুলনার

দলের মোট সংগ্রহ ১৭৮ রান, ব্যাট করেছেন সাত জন। যেখানে মোট রান থেকে ১০৯ রান একাই করেছেন খুলনা টাইগার্সের পাকিস্তানি ব্যাটার আজম খান। বাকি পাঁচ ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৩ আর অতিরিক্ত খাতে জমা হয়েছে পাঁচ রান।

এটুকু পড়েই বুঝে যাওয়ার কথা মিরপুরেরর হোম অফ ক্রিকেটে আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলারদের কিরকম পেটানি দিয়েছেন আজম। এই পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক ব্যাটারের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১৭৮ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে খুলনা টাইগার্স।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুর দিকে যেন রান করতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন খুলনার ব্যাটাররা। প্রথম চার ওভারে ১২ রান যোগ হতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে দলটি।

এরপর চারে নামা আজম খানকে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল। তবে আজম খান যেখানে সাবলীলভাবে রান করছিলেন সেখানে অন্যপ্রান্তে তামিম যেন রীতিমতো রান করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন।

মুখোমুখি হওয়া চতুর্থ ও পঞ্চম বলে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে শুরুতেই ঝড়ের পুর্বাভাস দিয়ে রেখেছিলেন আজম। তবে সেই ঝড় যে এত ভয়ঙ্কর হবে সেটা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেনি চট্টগ্রাম।

প্রথম ১০ ওভারে খুলনাএ সংগ্রহ ছিল দুই উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান। যেখানে  আজম খানের ব্যাট থেকে এসেছিল ২১ বলে ৩৩ রান। একপ্রান্তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং আর অন্যপ্রান্তে ছিল তামিমের অতি সাবধানী ব্যাটিং।

ইনিংসের ১৫তম ওভারে বিদায় নেন তামিম। তার অস্বস্তিকর ইনিংসে এসেছে ৪০ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। এরপর ব্যাটিংয়ে দ্রুত বিদায় নেন খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির আলি।

এরপরই চট্টগ্রামের বোলার জন্য রুদ্রমূর্তিতে ধারণ করেন আজম। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ফিফটি যখন ফিফটি স্পর্শ করেছেন তখন তার নামের পাশে খেলা বলের সংখ্যা ৩৩ বল।

এরপর পরের ফিফটি অর্থাৎ সেঞ্চুরি করতে আজম খেলেছেন মাত্র ২৫ বল। ১৫তম ওভারের শেষ দুই বলে টানা দুই ছক্কা মেরে শুরু। এরপর ১৬তম ওভারে দুই চার ও ১৭তম ওভারে এক চার ও এক ছক্কা হাকিয়েছেন তিনি।

শেষ ওভারে সেঞ্চুরি করার জন্য আজমের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। ওভারে দ্বিতীয়  বলে সিঙ্গেল নিলে সেঞ্চুরি শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল। তবে ওভারে চতুর্থ বলে চার হাঁকিয়ে সে শঙ্কায় উড়িয়ে দেন।

পরের বলে দারুণ একা ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি করার পরের বলে বোলারের মাথার উপর দিয়ে আরও এক বিশাল ছক্কা মেরে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে আজম খানের এটাই প্রথম সেঞ্চুরি আর বিপিএলে সব মিলিয়ে ২৬তম। 

 

Link copied!