ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভারতকে পাত্তাই দিলো না ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে দুই ওপেনার জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলসের তাণ্ডবে কোনো উইকেট না হারিয়েই ভারতের দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য চার ওভার বাকি থাকতে টপকে যায় ইংলিশরা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হন বাটলার ও হেলস। দুই ইংলিশ ওপেনারের ব্যাটিং ঝড়ে ভারতের পুরো বোলিং আক্রমণকে অসহায় দেখাচ্ছিল অ্যাডিলেডের মাঠে।
শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৯ চার ও দুই ছক্কায় ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন বাটলার। অন্যপ্রান্তে ৪৯ বলে চারটি চার ও সাত ছক্কায় হেলসের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস।
টস হেরে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কে এল রাহুলের উইকেট হারায় ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ইংলিশদের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন ক্রিস ওকস।
পুরো টুর্নামেন্টের মতো এদিনও শুরুতে রান করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে এরপর আস্তে আস্তে হিট করা শুরু করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ইনিংসের ৯ম ওভারে রোহিতকে ফিরিয়ে দেন ইংলিশ পেসার ক্রিস জর্ডান।
এরপর পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা সূর্যকুমার যাদবকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেয়নি ইংল্যান্ড। দলীয় ৭৫ রানে ব্যক্তিগত মাত্র ১৪ রানেই ফিরে যান তিনি। তবে অন্যপ্রান্তে বিরাট কোহলি ঠিকই ভারতের স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন।
হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন কোহলি। ৩৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করার পরের বলেই আউট হন কোহলি, আর এতে ভাঙে তাদের ৬১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি।
ততক্ষণ পর্যন্ত ভারত আদৌ বড় সংগ্রহ পাবে কিনা সেটা নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে এরপর ব্যাট হাতে শেষ পাঁচ ওভারে রীতিমতো ইংলিশ বোলারদে উপর তান্ডব চালিয়েছেন হার্দিক। মাত্র ৩৩ বলে চারটি চার ও পাঁচ ছক্কায় তার ৩৩ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৬৮ রানের লক্ষ্য পায় ভারত।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ইংল্যান্ড। ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের করা ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই ১৩ রান যোগ হয় ইংলিশদের স্কোরবোর্ডে।
দুই ইংলিশ ওপেনার জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলসের তাণ্ডবে ভারতীয় বোলারদের অসহায় চেহারা বারবার ফুটে উঠছিল অ্যাডিলেডের জায়ান্ট স্ক্রিনে। পাওয়ার প্লেতেই ৬৬ রান যোগ হয় ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে।
যত সময় গড়িয়েছে ততই ভারতের থেকে ম্যাচ নিজেদের দিকে হেলিয়ে নিয়েছে হেলস ও বাটলার। প্রথম ১০ ওভারে ৯৮ রান তুলে ম্যাচের ফল তখনই প্রায় লিখে দিয়েছিলেন তারা।
বাকি থাকা ৭০ রান করতে ইংল্যান্ডে লেগেছে মাত্র ছয় ওভার। ইনিংস শেষে বাটলার অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৯ চার ও দুই ছক্কায় ৭৮ রানে । অন্যপ্রান্তে ৪৯ বলে চারটি চার ও সাত ছক্কায় হেলসের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস।
রোববার (১৩ নভেম্বর) মেলবোর্নে ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। দুই দলের জন্যই এটা হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় ফাইনাল।
আপনার মতামত লিখুন :