জুভেন্টাস ছেড়ে শৈশবের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরেছিলেন ২০২১ সালে। প্রত্যাবর্তনের মৌসুমে ক্লাবটির সেরা খেলোয়াড়ও ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দ্বিতীয় মৌসুমে পাল্টে যায় সব হিসাব-নিকাশ। এবার ক্লাবের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন, ক্লাবে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন।
র্যালফ র্যাঙ্কনিকের বিদায়ের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব উঠে ডাচ কোচ এরিক টেন হাগের হাতে। নতুন কোচের অধীনে শুরু থেকেই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন রোনালদো। এমনকি তার দল ছাড়ার গুঞ্জনও উঠেছিল।
শেষ পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন দল-বদলে দল ছাড়া হয়নি তার। ওল্ড ট্রাফোর্ডে থেকে গেলেও নানা কারণেই কোচের সাথে রোনালদোর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না তা সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে।
এবার রোনালদো নিজেই জানিয়েছে, ইউনাইটেডে তিনি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, “শুধু কোচ না, চারপাশের আরও দুই-তিনজন লোকও আছে (ক্লাব নির্বাহী পর্যায়ের)। আমি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছে। আমি এসব মাথায় নিচ্ছি না। সবার সত্যটা জানা উচিত। আমি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হচ্ছি। আমি অনুভব করছি, অনেকেই আমাকে এখানে যায় না। শুধু এই মৌসুম না, গত মৌসুমেও।”
কোচ এরিক টেন হাগ তাকে সম্মান করে না বলেও অভিযোগ করেছেন রোনালদো। তিনি বলেন, “আমার তার প্রতি সম্মান নেই। কারণ, সে আমাকে সম্মান করে না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কেউ যদি আমাকে সম্মান না করে, তাহলে আমিও তাকে সম্মান করি না। তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আসে না।”
চলতি ২০২২-২৩ মৌসুমের আগে রোনালদোর দল ছাড়া নিয়ে প্রচুর জল ঘোলা হয়েছিল। সেবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাকে দল ছাড়তে বাধ্য করেছিল বলেও জানান রোনালদো। বলেন, “ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আমাকে দল ছাড়তে অনেক চাপ দিয়েছিল।”
এছাড়াও সাবেক কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের পর ক্লাব কোনোদিক থেকেই উন্নতি করেনি বলেও জানান তিনি। এর পিছনে ক্লাবের পরিচালনার সাথে জড়িতদের সদিচ্ছার অভাব বলেও জানান এই ফুটবলার।
আপনার মতামত লিখুন :