প্রতিবেশী দেশ ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় সংখ্যালঘু হলেও ডব্লিউপিআরের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ১৪ শতাংশ, অর্থাৎ ২০ কোটি মানুষ মুসলিম।
কিন্তু বিশাল আয়তনের এই দেশে কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আছে। কারণ, ভারতের সিংহভাগ মানুষ হিন্দু এবং হিন্দুধর্মে গোহত্যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
সুতরাং ভারতের মুসলিমরা কোরবানির ক্ষেত্রে মূলত ছাগল ও মহিষকেই প্রাধান্য দেন। এর বাইরে কেউ কেউ গরু কোরবানি দিলেও উট কোরবানি দেওয়া হয় খুবই কম।
কিন্তু গরু আবার সব জায়গায় কোরবানি দেওয়া যায় না। ভারতের কয়েকটি রাজ্যে গরু জবাই করা আইনত বৈধ। সেগুলো হলো অরুণাচল, গোয়া, কেরালা, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, দাদরা, নগর হাভেলি, দামান, দিউ ও পন্ডিচেরি।
তবে এই রাজ্যগুলোর মধ্যে শুধু কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম রয়েছে। এর বাইরে দেশটির সবখানে গোহত্যা করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
বিবিসি সংবাদদাতা শাকিল আখতার ভারতের দিল্লি থেকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন, “কেউ যদি গরু কোরবানি দেয়, তবে ভয়াবহ শাস্তি আছে। কোনো কোনো রাজ্যে সাত বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধি আছে। যেমন গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে গরু কোরবানি দেওয়া সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূত।”
তবে নাগাল্যান্ডের মতো কিছু রাজ্য মুসলিমপ্রধান না হওয়া সত্ত্বেও সেসব স্থানে গরু জবাই করা যায়।
তার কারণ, পূর্ব দিকের ওই সব এলাকার বেশির ভাগ মানুষই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী এবং খ্রিষ্টানরা ঐতিহ্যগতভাবেই গরুর মাংস খান। তাই ভারত সরকার সেখানে বাধা দেয় না।
সূত্র: বিবিসি বাংলা