নানা অনিশ্চয়তার পর শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হল প্রোটিয়া কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বরখাস্ত করতে চাইলেও তার আগেই পদত্যাগ করেছেন তিনি।
২০১৯ সালের আগস্টে তাকে টাইগারদের হেড কোচের দায়িত্ব দিয়েছিল বিসিবি। প্রথম দফায় দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালে আবারও তার সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেন বিসিবি। তবে দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায়ন নিতে হলো তাকে।
কোচ হিসেবে ডমিঙ্গোর বাংলাদেশ অধ্যায়ের শুরুটা ছুল দুঃস্বপ্নের মতো। শুরুতেই আফগানদের বিপক্ষে টেস্ট হেরে বসে বাংলাদেশ। তবে তার অধীনে টাইগারদের কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্যও রয়েছে।
ডমিঙ্গোর অধীনেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে প্রথম অ্যাওয়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারতের বিপক্ষেও তার অধীনেই প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজেও জয়েও ডমিঙ্গো ছিলেন সাকিব-তামিমদের হেড কোচ।
ডমিঙ্গোর অধীনে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সফল ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে। তার অধীনে ৩০ ম্যাচের ২১টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। টাইগারদের কোচ হিসেবে শেষ সিরিজে ভারতের বিপক্ষেও সিরিজ জিতেছেন তিনি।
তবে ওয়ানডের তুলনায় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে ডমিঙ্গোর পরিসংখ্যান বড্ড সাদামাটা। তার অধীনে ২২টি টেস্ট খেলে ১৭টিতেই পরাজয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। দুইটি ম্যাচ হয়েছে ড্র আর জয় এসেছে তিন ম্যাচে।
টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের কোচ হিসেবে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় ডমিঙ্গোর বড় সাফল্য। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে ৫৯ ম্যাচে ২৩টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৩৫ ম্যাচে পরাজয় আর একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।