আবারও হল্যান্ডের গোল, জিতলো ম্যানসিটি

আর্লিং হল্যান্ডের গোল মেশিন যেন ছুটেই চলেছে। শনিবার (৮ অক্টোবর) ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় জালে বল জড়িয়েছিলেন এই নরওয়েজিয়ান। হল্যান্ড ও তার সতীর্থের আলো ছড়ানোর রাতে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।

ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সাউথহ্যাম্পটনকে আতিথ্য দেয় ম্যানচেস্টার সিটি। প্রতিপক্ষকে ৪-০ গোল উড়িয়ে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যরা। নিজ ম্যাচে আর্সেনাল জিতলে অবশ্য শীর্ষস্থান হারাতে হবে দলটিকে।

ম্যাচের শুরু থেকেই সাউথহ্যাম্পটনকে চেপে ধরে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে সুযোগ পেয়েও বল গোলে জড়াতে পারেননি হল্যান্ড। এই নরওয়েজিয়ান না পারলেও ২০তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন জোয়াও ক্যানসেলো। এর ১২ মিনিট পর স্কোরশিটে নাম তোলেন ফিল ফোডেন। গোলে ফোডেনকে বলের জোগান দেন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা কেভিন ডি ব্রুইনি।

ফোডেনকে বলের জোগান দিয়ে একটি রেকর্ডও নিজের করে নেন ডি ব্রুইনি। সাবেক ম্যানসিটি সতীর্থ ডেভিড সিলভাকে (৯৩) ছাড়িয়ে এখন প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট এখন ডি ব্রুইনির (৯৪) দখলে।

প্রথমার্ধে আর কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ম্যানসিটি। বিরতি থেকে ফিরে স্কোরলাইন ৩-০ করেন রিয়াদ মাহারেজ। রদ্রি করা ক্রস থেকে কোনাকুনি শটে গোল করেন।

৫৭তম মিনিটে আবারও সুযোগ মেলে হল্যান্ডের। ব্রুইনির কাছ থেকে পাওয়া পাস এবার কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন হল্যান্ড। ৬৫তম মিনিটে শেষ পর্যন্ত ডেডলক ভাঙেন হল্যান্ড। ক্যানসেলোর পাস থেকে গোল করে সাউথহ্যাম্পটনের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এই ফুটবলার।

এই নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে টানা ৭ ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন আর্লিং হল্যান্ড। সিটিজেনদের জার্সিতে মোট ২০ গোল করলেন তিনি আর প্রিমিয়ার লিগে তার গোলসংখ্যা ১৫ টি।

এরপর আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পায় ম্যানচেস্টার সিটি। তবে জ্যাক গ্রিলিশ, সার্জিও গোমেজ, রদ্রিদের ফিনিশিং দুর্বলতায় আর গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা।

৯ ম্যাচে সাত জয় ও দুই ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট এখন ২৩। এক ম্যাচ কম খেলে ২১ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে নেমে গেছে আর্সেনাল। তাদের সমান ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে টটেনহ্যাম হটস্পার।