আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচটি ছিল নিছকই নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৭০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। সূর্যকুমার যাদবের ঝড়ো ইনিংসে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল ভারত। এরপর বোলারদের তোপে জিম্বাবুয়েকে ১১৫ রানে অলআউট করে সুপার টুয়েলভে গ্রুপ দুইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে রোহিত শর্মার দল।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড মাঠে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ব্যক্তিগত ১৫ রানে ফিরে যান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপর বিরাট কোহলিকে নিয়ে জুটি গড়ায় মনোযোগ দেন আরেক ওপেনার কেএল রাহুল।
দলীয় ৮৭ রানে কোহলি ব্যক্তিগত ২৬ রানে আউট হলে ভাঙে তাদের ৫০ রানের জুটি। সঙ্গি হারিয়ে মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে ফিরে যান রাহুল। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস।
এবারের বিশ্বকাপে এই ম্যাচেই প্রথম মাঠে নামার সুযোগ পান ঋষভ পান্থ। তবে তাকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন জিম্বাবুইয়ান স্পিনার শেন উইলিয়ামস।
হার্দিক পান্ডিয়াও এদিন ঝড় তুলতে পারেননি, ফেরেন ১৮ বলে ১৮ রানে। তবে অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন সুর্যকুমার যাদব তার ২৫ বলে ৬১ রানের টর্নেডো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে ভারত।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুঃস্বপ্নের মতো শুরু হয় জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার ওয়েসলি মাধেবেরের উইকেট হারায় তারা। এরপর দ্বিতীয় ওভারে রেজিস চাকাভাকেও ফিরিয়ে শুরুতেই জিম্বাবুয়েকে চাপে ফেলে দেন ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার।
এরপর চার নম্বরে শেন উইলিয়ামসকে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। তবে দলীয় ২৮ রানে উইলিয়ামস ফিরে গেলে ভেঙে যায় তাদের জুটি।
এরপর মাত্র আট রানের ব্যবধানে অধিনায়ক ক্রেইগ ও টনি ফিরে গেলে রীতিমতো ৩৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় জিম্বাবুয়ে।
শুরুতেই বিপদে পড়া জিম্বাবুয়েকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন সিকান্দার রাজা ও রায়ার্ন বাল। তাদের জুটিতে বেশ ভালো গতিতে রান যোগ হচ্ছিল জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ডে।
দলীয় ৯৬ রানে বার্ল ফিরলে ভাঙে তাদের ৬০ রানের জুটি। যাওয়ার আগে ২২ বলে এক ছয় ও পাঁচ চারে ৩৫ রানের ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। বার্লের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি জিম্বাবুয়ে ইনিংস।
মাত্র ১৯ রানে শেষ চার উইকেট হারিয়ে ১৭.২ ওভারে ১১৫ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ৭০ রানের এই জয়ে পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।