• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

প্রোটিয়া আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৩, ০৯:২৫ পিএম
প্রোটিয়া আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে আগ্রাসন ক্রিকেট খেলে ইংল্যান্ড যে কোনো দলকে গুঁড়িয়ে দেয়। এবার সেই আগ্রাসন ক্রিকেট খেললো ইংল্যান্ডের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের আগ্রাসনের সামনে অসহায় হয়ে পড়ল ইংলিশরা। ব্যাটে-বলে সব জায়গাতেই আক্রমণাত্মক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এতেই জস বাটলারদের ২২৯ রানের লজ্জার হারের স্বাদ দিল প্রোটিয়ারা।

শনিবার (২১ অক্টোবর) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং তাণ্ডব থামে ৭ উইকেটে ৩৯৯ রান করে। প্রোটিয়া ব্যাটারদের দাপটের পর ম্যাচে পেসাররাও দাপট দেখায়। জবাবে ইংল্যান্ড ৪০০ রানে পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের গতির ঝড়ে লন্ডভন্ড ইংলিশ ব্যাটিং লাইন আপ। শেষপর্যন্ত ২২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭০ রান তুলতে পারে জস বাটলারের দল। 

জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। উলটো নিজেদের ইতিহাসে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের রেকর্ড দেখলো তারা। প্রোটিয়া পেসারদের তোপের সামনে প্রতিরোধই গড়তে পারেনি জস বাটলাররা। ইংল্যান্ডের যাওয়া আসার মিছিলের শুরুটা করেন ওপেনার জনি বেয়ারস্টে। দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ করতে নেই আরও দুই উইকেট।

এই ৬ রান করতে ফিরেছেন জো রুট ও ডেভিড মালান। এরপর বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা বেন স্টোকসও হতাশ করে ফিরে গিয়েছেন। কাসিগো রাবাদার বলে ৫ রান করে বিদায় নেন স্টোকস। এদিন অধিনায়ক জস বাটলারও দলের দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ। দলকে ৬৭ রানে রেখে অধিনায়ক মাঠ ছাড়েন। বাটলারের বিদায়ের পর ইংল্যান্ড তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে হারার ৮ উইকেট।

এই ৮ উইকেটই নেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। শেষ উইকেটটা নেন প্রোটিয়া স্পিনার কেশব মহারাজ। আর এই উইকেট থেকেই ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান আসে। নবম উইকেটে ৩২ বলে ৭০ রান যোগ করেন মার্ক উড ও গাস অ্যাটকিনসন। শেষপর্যন্ত ২১ বলে ৩৫ রানে থাকা অ্যাটকিনসনকে থামান মহারাজ।

অন্যপ্রান্তে অপরাজিত ছিলেন ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা উড। তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৩ রান। আর দশম উইকেট রিস টপলি চোটের কারণে ব্যাট হতে মাঠেই নামতে পারেননি। এতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রোটিয়াদের হয়ে জেরার্ল্ড কোয়েৎজি ৩ উইকেট। আর মার্কো ইয়ানসেন ও রাবাদা ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে ছাড়াই মাঠে নামে। দুঃসংবাদ নিয়ে মাঠে নামা প্রোটিয়ারা টস হেরে ব্যাট করতে এসে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওপেনার কুইন্টন ডি কককে হারিয়ে। ইনিংসের প্রথম বলে চার মেরে ডি কক দ্বিতীয় বলেই শিকার হন রিস টপলির।

ডি কক দ্রুত ফিরলেও দলকে ভালো শুরু এনে দেন রেজা হেনড্রিকস ও রাসি ফন ডার ডুসেন। এই দুজনেই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। চারে নেমে এইডেন মার্করামও থিতু হয়ে ফিফটির পথে হাঁটছিলেন। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরির আগেই ৪৪ বলে ৪২ রান করে প্যাভিলিয়ানের পথ ধরেন।

টপ অর্ডার ব্যাটাররা রান পাওয়ায় মিডল অর্ডার ব্যাটাররা স্ট্রাইকরেটে মনোযোগী হন। সেই পথে হেঁটে সফল হয়েছেন ক্লাসেন ও মার্কো জানসেন। ক্লাসেন ৬৭ বলে করেছেন ১০৯ রান। তার স্ট্রাইকরেট ছিল প্রায় ১৬২। জানসেন তার চেয়েও আক্রমণাত্মক ছিলেন। ৪২ বলে করেছেন অপরাজিত ৭৫ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন ১৭৯ স্ট্রাইকরেটে।

ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন রিস টপলি। দুটি করে শিকার আদিল রশিদ ও গাস অ্যাটকিনসনের।

Link copied!