সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথমার্ধে ব্রাজিলকে আটকে দিলো ক্রোয়েশিয়া। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়ার গোলপোস্টে তিন শট নিলেও সেগুলো সহজেই গ্লাভস বন্দী করেছেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল নামক সোনার হরিণের দেখা পায়নি। ফলে গোল শূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে গিয়েছে ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল ঘর সামলে আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে। পঞ্চম মিনিটে বক্সের বাইরে বা পাশ থেকে দারুণ বাকানো শট নিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিশিয়াস জুনিয়স। কিন্তু তার শট সোজা জমা হয় ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষকের গ্লাভসে।
শুরু থেকেই আক্রমণে আধিপাত্য দেখানো ব্রাজিলের সামনে বেশ কয়েকবারই গোলের সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ফিনিশিং ব্যর্থতায় গোলের দেখা পায়নি সেলেসাওরা।
ম্যাচের ১৩তম মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু প্যাসিলিকের ক্রসে জুরানোভিচ পা ছোঁয়াতে না পারলে সুযোগ হাতছাড়া হয় ক্রোয়াটদের।
২০তম মিনিটে টানা দুই সুযোগ মিস করে ব্রাজিল। প্রথমে দারুণ বোঝাপড়ায় বল নিয়ে ক্রোয়াটদের বক্সে ঢুকে গেলেও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি ভিনিশিয়াস। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে খুব কাছ থেকে শট নিয়েছিলেন নেইমার কিন্তু তাতে আহামরি কোনো গতি না থাকায় সহজেই গ্লাভস বন্দী করেছেন ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক।
ব্রাজিলের আক্রমণ সামনে ক্রোয়েশিয়াও সমানে আক্রমণ করে ম্যাচ শুরু থেকেই জমিয়ে তোলে। তবে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় ক্রোয়াটরাও গোলের দেখা পায়নি।
ম্যাচের ৪১তম মিনিটে ভিনিশিয়াস ট্যাকলের শিকার হলে ডিবক্সের সামনে বা পাশে ফ্রি কিক দেন রেফারি। তবে নেইমারের ফ্রি কিক ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষকের কাছে।
শেষ পর্যন্ত একাধিক আক্রমণ করেও ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া কেউই গোলের দেখা পায়নি। ফলে সমতায় থেকেই বিরতিতে গেলো দুই দল।