ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। এর মিনিট পাঁচেক পর তরুণ জুলিয়ান আলভারেজের দারুণ এক আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আলবিসেলেস্তারা। মেসি ও আলভারেজের গোলে প্রথমার্ধে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছে আর্জেন্টিনা।
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) রাতে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের শুরুতে গুছিয়ে নিতে আর্জেন্টিনাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। যখন ম্যাচে ফিরেছে দুই গোল প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়ে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে আলবিসেলেস্তাররা।
ম্যাচের প্রথমদিকে নিজের স্বভাবসুলভ ফুটবল খেলতে না পারায় পিছিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। প্রথম ২৫ মিনিটে ম্যাচজুড়ে ছিল ক্রোয়াটদের আধিপত্য। ৩১ মিনিটে ভাঙে সেই আধিপত্য।
ক্রোয়াট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ বল আটকাতে গিয়ে ডিবক্সে ফাউল করে বসেন জুলিয়ান আলভারেজকে। হলুদ কার্ড দেখানোর পাশাপাশি পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেই সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে প্রতিবাদ করেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার মাতেও কোভাচিচ। ফলে তাকেও দেখতে হয় হলুদ কার্ড।
স্পট কিক থেকে দলকে এগিয়ে নিতে ভুল করেননি লিওনেল মেসি। ডানদিকে নেওয়া শট গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালভেদ করে। বিশ্বকাপের এবারের আসরে এটি মেসির পঞ্চম গোল। বিশ্বকাপে এটি তার ১১তম গোল। এই গোলে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে ছাড়িয়ে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন খুদে জাদুকর।
এর মিনিট পাঁচেক পরেই আবারও আর্জেন্টিনার আক্রমণ। এবার পাল্টা আক্রমোনে গোল আদায় করে নেন জুলিয়ান আলভারেজ। ক্রোয়েশিয়ার পাওয়া কর্ণার কিক থেকে বল পেয়েই প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে ভোঁ দৌড় শুরু করেন আলভারেজ। মাঝ মাঠে থাকা কেউ তাকে আটকাতে পারেননি। ফলে দ্বিতীয় গোল হজম করে আরও একবার পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়েশিয়া।
প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। দুই গোলে এগিয়ে থাকায় বিশ্বকাপের ফাইনালে একধাপ পা দিয়েই রেখেছে আলবিসেলেস্তারা।