ভারতের শেষ আশা ছিল আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নবীরা যদি নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারে, তাহলে সেমি ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকবে বিরাট কোহলিরা। আর নিউজিল্যান্ড হারলে বিদায়। পরিসংখ্যানগত ভাবে সম্ভাবনা ছিল আফগানিস্তানেরও। কিন্তু সব হিসাবে জল ঢেলে ৮ উইকেটের জয় তুলে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে কেন উইলিয়ামসনের দল। আর এই ম্যাচ হেরে ভারতকে নিয়ে ডুবল আফগানিস্তান।
টস ভাগ্যটা ছিল আফগানদের পক্ষেই। টস জিতে ব্যাটিং নেন নবী। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বড় রানের লক্ষ্যটা পূরণ হল না তার। কিউইদের মাত্র ১২৫ রানের লক্ষ্যই দিতে পেরেছে আফগানরা।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে কিউইদের। শুরু থেকেই আফগান বোলারদের উপর চড়াও হতে থাকেন দুই ব্ল্যাক ক্যাপস ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ডারল মিচেল। তিন ওভারেই স্কোরবোর্ডে ২৬ রান তুলে ফেলেন তারা। চতুর্থ ওভারে মুজিবের ক্যারম বলে উইকেট কিপার শাহজাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ডারল মিচেল। ৩টি চারের মাধ্যমে ১২ বলে ১৭ রান করেন তিনি।
এরপর মার্টিন গাপটিলের সঙ্গী হয়ে খেলতে থাকেন কেন উইলিয়ামস। দুইজনের ৩১ রানের জুটিতে জয়ের দিকে এগুতে থাকে কিউইরা। কিন্তু আঘাত হানেন রশিদ খান। রশিদের বলে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেন ওপেনার গাপটিল। এর মাধ্যমে টি-টোয়েন্টিতে ৪০০ উইকেটের মালিক হয়ে যান রশিদ খান।
৫৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পর কেন উইলিয়ামস ও ডেভন কনওয়ে মিলে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি। দুই জনের অপরাজিত জুটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিউইরা। তিনটি চারের সাহায্য ৪০* রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ালমসন। আর ডেভিড কনওয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩৬* রান।
১১ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিউইরা। এ জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল কেন উইলিয়ামসনের দল।
এবারের বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল রশিদ খানরা।
আফগানিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান।