ভারতকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে যে স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছির পাকিস্তানের, সেমি ফাইনালে এসে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এসে সমাপ্তি হয় তার। গ্রুপপর্বে দুর্দান্ত খেলা পাকিস্তান আসরের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে ৫ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়া বললে ভুল হবে, পাকিস্তান আসলে হরেছে ম্যাথু ওয়েডের কাছে।
বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা করা যাক। পাকিস্তানের দেওয়া লক্ষ্য তারা করতে নেমে ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল অস্ট্রেলিয়া, তখন মার্কায় স্টয়নিসের সঙ্গে জুটি গড়েন ওয়েড। পাকিস্তানি বোলারদের চাপ সামলে এই জুটি মাত্র ৪১ বলে ৮১* রানের এক অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। আর তাতেই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন।
ফাইনাল ম্যাচটা বল হাতে খুব একটা ভালো করতে পারেনি পেসার আসান আলী। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৪ রান। তবে ম্যাচর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ওয়েডের ক্যাচ ছেড়ে খল নায়ক বনে যান তিনি। শাহিন আফ্রিদির করা ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়েডের ক্যাচ ছাড়েন হাসান। এর পরের তিন বলে পরপর ৬টি ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ওয়েড।
পাকিস্তানের এই হারে সমর্থকদের সব ক্ষোভ গিয়ে পড়ে হাসান আলীর ওপর। নেটমাধ্যমে তার তীব্র সমালোচনা হয়। এমনকি তার ভারতীয় স্ত্রীকে নিয়েও কথা বলতে ছাড়েনি পাকিস্তানের সমর্থকরা। তবে এতদিন এসব নিয়ে কিছু বলেননি ২৭ বছর বয়সী এই পেসার। অবশেষে শনিবার টুইটে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেন, “‘জানি আমার পারফরম্যান্সের কারণে আপনারা সবাই ব্যথিত। আমি আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। কিন্তু আমার থেকে বেশি দুঃখে আর কেউ নেই।”
হাসান আলী আরো লেখেন, “আমার চেয়ে প্রত্যাশা করা বন্ধ করবেন না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পাকিস্তান ক্রিকেটকে যতদিন পারব সেবা করে যেতে চাই। তাই ফের কঠোর পরিশ্রমে ফিরেছি। এই সময়ে নিজেকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাই। আপনাদের বার্তা, টুইট, পোস্ট, ফোন এবং প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ। এটাই আমার সব থেকে বেশি দরকার ছিল।”