দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (১৪ নভেম্বর) শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। আজ যে দলই জিতুক, এ সংস্করণে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে বিশ্ব।
এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া উঠল দ্বিতীয়বারের মতো।
এই সংস্করণে ইতিহাসটা অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। দুই দল এ পর্যন্ত ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছিল। তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৯ ম্যাচ, অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৫টি। বিশ্বকাপে এর আগে একবারই মুখোমুখি হয়েছে তারা, সেই ম্যাচটি অবশ্য জিতেছে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের জন্য মন খারাপ করা আরেকটি পরিসংখ্যান হচ্ছে, নক আউট পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কখনো জয় পায়নি কিউইরা।
তবে সব পরিসংখ্যান কাগজে কলমেই আছে। মাঠের লড়াই সবসময় পরিসংখ্যান মেনে হয় না। চলতি বিশ্বকাপে দুই দলের শুরুটা সাদামাটা ভাবেই হয়েছে। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে, ততোই নিজেদের মেলে ধরেছেন দুই দলের ক্রিকেটাররা।
অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ড, দুই দলেরই বেশিরভাগ খেলোয়াড়দের ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রয়েছে। সেমি ফাইনালে সেই সামর্থ্যের প্রদর্শনীও দেখা গিয়েছে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পরও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেতে যেমন অসুবিধা হয়নি নিউজিল্যান্ডের, তেমনি সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক সাতে নামা ম্যাথু ওয়েড।
দুই দলের সবচেয়ে বড় দুর্বলতার জায়গা অধিনায়ক। অ্যারন ফিঞ্চ ও কেন উইলিয়ামসন এখনো আসরে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি সেইভাবে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে ব্যাট হাতে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম ব্যাটিং ভরসা স্টিভেন স্মিথও ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন। তাকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে উজ্জীবিত নিউজিল্যান্ডকে সামলাতে।
বিশ্বকাপের আগে ফেভারিট হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার নাম খুব একটা উচ্চারিত হয়নি। কিন্তু তারাই আজ ফাইনালে। যদিও ফিঞ্চের দাবি, তার বিশ্বকাপ জেতার স্পষ্ট লক্ষ্য নিয়েই এসেছেন। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক বলেন, “এটা অপ্রত্যাশিত নয়। আমরা এখানে বিশ্বকাপ জেতার পরিষ্কার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছি। এবং সবসময় অনুভব করেছি আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। নিউজিল্যান্ড অনেকদিন ধরে আইসিসির প্রত্যেক ইভেন্টের ফাইনালে উঠছে। তিন সংস্করণেই তারা সেরা দল। আমরা তাদের হালকা করে দেখছি না।”
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক উইলিয়ামসন বলেছেন, “আমরা বিভিন্ন সময় একে অপরের বিপক্ষে খেলেছি। এটা সবসময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং দারুণ উপলক্ষ হয়, যখন আমরা একে অপরের বিপক্ষে খেলি।”