টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ১৬টি দল নিয়ে শুরু হয়েছে। মোট ৪৪টি ম্যাচের লড়াইয়ের পরে ফাইনাল দুটি দল। আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১ বিশ্বকাপ ট্রফির জন্য ট্রান্স-তাসমান প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত।
পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে এটাই নিউজিল্যান্ডের প্রথম উপস্থিতি। অস্ট্রেলিয়া ২০১০ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ছিল। জয় যে পক্ষেরই হোক, ১৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নতুন বিজয়ী পাবে।
দলগুলো সেমিফাইনালে দারুণ পারফর্ম করে ফাইনালে উঠেছে। দুই দল শেষবার ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে জয়লাভ করেছিল। নিউজিল্যান্ড ২০১৯ সালের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল, যেখানে তারা বাউন্ডারি আইনে ইংল্যান্ডের কাছে অল্পের জন্য হেরেছে এবং ২০২১ সালে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে পরাজিত করেছে।
ফাইনাল ম্যাচের সূচি:
ম্যাচ: নিউজিল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া, ফাইনাল
সময়: বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা, রোববার, ১৪ নভেম্বর
ভেন্যু: দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
নিউজিল্যান্ড
আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিং: ৪
স্কোয়াড: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), টড অ্যাস্টল, ট্রেন্ট বোল্ট, মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে (উইকেটরক্ষক), অ্যাডাম মিলনে, মার্টিন গাপটিল, কাইল জেমিসন, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, মিচেল স্যান্টনার, টিম সেফার্ট,(উইকেটরক্ষক), ইশ সৌধি, টিম সাউদি।
ফাইনালে যাত্রা:
নিউজিল্যান্ড টুর্নামেন্টে বেশ ধারাবাহিক পারফর্ম করে যাচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের উদ্বোধনী ম্যাচে পরাজয়ের পর থেকে একটি ম্যাচও হারেনি। তাদের বোলিং আক্রমণ টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। যদিও কোনো স্ট্যান্ডআউট ব্যাটার ছিল না। তবে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তাদের ভূমিকা রেখেছে তুলেছে এবং প্রতিপক্ষকে পরাজিত করতে তা বিশেষভাবে ভূমিকা রেখেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে জিমি নিশাম এবং ড্যারিল মিচেল দারুণ পারফর্ম করে এক নম্বর দলকে ছিটকে দিয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া
আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিং: ৬
স্কোয়াড: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), অ্যাশটন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড, জশ ইঙ্গলিস, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, কেন রিচার্ডসন, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস, মিচেল সুইপসন, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যাডাম জাম্পা।
ফাইনালে যাত্রা:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শক্ত জয় দিয়ে অস্ট্রেলিয়া তাদের অভিযানের সূচনা করেছিল। কিন্তু দুই ম্যাচ পরে ইংল্যান্ডের কাছে তারা হেরে যায়। তবে সুপার টুয়েলভ পর্বের বাকি ম্যাচে বড় জয় তাদের নেট রান রেট বাড়িয়েছে এবং তারা সেমিফাইনালে উঠেছে। সেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারের আউট না হয়েও সাজঘরে ফিরে যাওয়া কঠিন সময়ে একটি ভুল পদক্ষেপ হলেও ম্যাথু ওয়েডের ১৯তম ওভারে ৩ ছয় দলকে ফাইনালের টিকেট পাইয়ে দিয়েছে।
ম্যাচ কর্মকর্তারা
মাঠের আম্পায়ার: মারাইস ইরাসমাস এবং রিচার্ড কেটলবরো
টিভি আম্পায়ার: নিতিন মেনন
ম্যাচ রেফারি: রঞ্জন মাদুগালে
চতুর্থ আম্পায়ার: কুমার ধর্মসেনা
রিজার্ভ ডে:
ফাইনালের জন্য একটি রিজার্ভ ডে আছে। নির্ধারিত দিনে ম্যাচটি শেষ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। ওভার কমিয়ে একটি ম্যাচে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংখ্যক ওভার (সেকেন্ড ব্যাটিং করার জন্য ১০ ওভার)। নির্ধারিত দিনে বোলিং করা না গেলেই ম্যাচটি রিজার্ভ ডে-তে সম্পন্ন হবে। যদি নির্ধারিত দিনে একটি ম্যাচ শুরু হয় এবং ওভার কমিয়ে দেওয়ার পরেও আর কোনো খেলা সম্ভব না হয়, ম্যাচটি রিজার্ভ ডেতে শেষ বলটি শেষ যেখানে খেলা হয়েছিল সেখানে পুনরায় শুরু হবে।
ম্যাচ টাই হলে:
ফাইনাল টাই হলে সুপার ওভার খেলা হয়। যদি সুপার ওভার টাই হয়, তাহলে পরবর্তী সুপার ওভারগুলি একটি বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত খেলা হবে। কোনো ব্যতিক্রম না হলে, ফলাফলের পূর্ব পর্যন্ত সীমাহীন সংখ্যক সুপার ওভার খেলা হবে। যদি আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে সুপার ওভার বাধাগ্রস্ত হয় বা ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় বা ফলাফল না হয়, দলদুটিকে যৌথভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।