রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি শেখ হাসিনা নেতৃত্বে থাকে ততদিন দলটি থেকে ভুলের পথ ছাড়া আর কিছু আশা করা যায় না। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভিডিওতে তিনি আরো বলেন, “কেউ বাহিরে থেকে সন্ত্রাসী বা গোপন অপকর্ম করে সাময়িকভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে, লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ডও ঘটতে পারে — কিন্তু এসব দিয়ে ঐ দলের রাজনৈতিক অস্তিত্ব স্থায়ীভাবে টিকে থাকবে না।” তার বক্তব্য, এইসব কৌশল হয়তো সাময়িক শোরগোল তৈরি করতে পারে, তবে জনগণের সামনে রাজনীতির মাপকাঠি পূরণ করবে না।
ডা. জাহেদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগের পুনরায় রাজনৈতিক মঞ্চে সৎভাবে ফিরে আসার একমাত্র পথ হচ্ছে রাজনীতির নিয়ম মেনে, কঠোর স্বচ্ছেীকরণ এবং ক্ষমাপ্রার্থনা বা পুনর্মিলনের মাধ্যমে জনআস্থা অর্জন। “যারা গুরুতর দায়ী তাদের শাস্তি মেনে নিতে হবে এবং বাকি সবার জন্য এক ধরনের পুণরায় সংহতির পথ খোলা উচিত,” যোগ করেন তিনি।
একই সঙ্গে তিনি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে বলেন, কিছু প্ররোচিত মহল ‘গণ-অভ্যুত্থান’ ঘটানোর কথা বললেও বাস্তবে এটি হবে না—কারণ গণআন্দোলন আসে কোনো আদর্শ বা বিশ্বাসের জন্য মাঠে নামা সাধারণ মানুষ থেকেই। “ডাকাতীবাহিনীর মতো কার্যক্রম দিয়ে কোনো তাত্ক্ষণিক গণ-আন্দোলন সৃষ্টি করা যায় না,” মন্তব্য করেন তিনি এবং বলেন, এমন ধরনের নাশকতা বরং জনগণের মধ্যে ওই দলের প্রতি অসংহতি ও ঘৃণা বাড়াবেই, যা তাদের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে আরও দুরূহ করে দেবে।
ভিডিওবার্তায় ডা. জাহেদ উল্লেখ করেন, বিদেশে থাকা কিছু নেতৃবৃন্দকে দলীয় কার্যক্রমে যুক্ত করে বা দূর থেকে আহ্বান জানিয়ে সমস্যার সমাধান করা যাবে না; বাস্তবে যে রাজনৈতিক পুনর্গঠন প্রয়োজন তা মুলত্যভাবে অভ্যন্তরীণ স্বীকৃতি, শাস্তি ও মীমাংসার মাধ্যমে সম্ভব।







































