• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপকে হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৩, ০৩:১৬ পিএম
ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপকে হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি

ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠিত ব্রেইন-চিপ নির্মাতা কোম্পানি ‘নিউরালিঙ্ক’কে মানুষের মস্তিষ্কের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।

বৃহস্পতিবার নিউরালিঙ্ক জানিয়েছে, হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য এফডিএ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে তারা। ফলে মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে সরাসরি কম্পিউটারে ইন্টারফেস সংযুক্তে আর কোনো বাধা নেই।

শুক্রবার (২৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

নিউরালিঙ্ক কোম্পানি টুইটারে এক পোস্টে জানিয়েছে, আমরা এক্সাইটেড যে আমরা আমাদের প্রথম-মানবীয় ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করার জন্য এফডিএ-এর অনুমোদন পেয়েছি। একদিন আমাদের প্রযুক্তি বহু মানুষের উপকারে লাগবে।

মানুষের মাথায় কয়েনের মতো ক্ষুদ্র একটি চিপ বসানো। সেই চিপ বা ক্ষুদ্র কম্পিউটিং ডিভাইস দিয়ে অনেক সমস্যার সুরাহা করা যাবে। পক্ষাঘাত এবং অন্ধত্বের মতো গুরুতর অবস্থাও সারিয়ে তোলা যাবে। অর্থাৎ কৃত্রিম সংযোগকারী হিসাবে কাজ করবে এই চিপ। মানুষের মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে অপারেশন করে এই চিপ বসাতে হবে।

বিশ্বের অন্য শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, এটি আসলে আপনার মস্তিষ্কের খুলিতে বেশ সুন্দরভাবে ফিট থাকবে এবং আপনার চুলের নিচে থাকবে। যা আপনি বুঝতেও পারবেন না।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শিগগিরই মানুষের মাথায় চিপ বসানোর কাজ শুরু হবে।

ইতিমধ্যে বানরের মাথায় নিউরালিঙ্কের চিপ বসিয়ে সাফল্য এসেছে। ইউটিউবে তার হাজারো ভিডিও রয়েছে। এবার মানুষের মাথায় বসাতে হবে। কিন্তু মস্তিষ্কে চিপ বসানোর জন্য তো জলজ্যান্ত কোনো মানুষকে স্বেচ্ছাসেবক হতে হবে! এত বড় ঝুঁকি কে নেবেন? আর বিশ্বাস বা টাকার লোভে সেই ঝুঁকি কেউ নিলেও, তা কি সরকারিভাবে ন্যায়সঙ্গত হবে?

২০১৬ সালে নিউরালিঙ্কের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সাল পর্যন্ত এই সংস্থার জন্য ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের(এফডিএ) কাছে এ সংক্রান্ত কোনো আবেদনই করা হয়নি।

এর আগে এফডিএ হিউম্যান ট্রায়ালে অনুমোদন দেয়নি কারণ তাদের দাবি, এই ডিভাইসে লিথিয়াম ব্যাটারি রয়েছে। তাছাড়া ইমপ্ল্যান্টের ক্ষুদ্র তারগুলো একটু এদিক-ওদিক হলেই মস্তিষ্কের অন্যান্য প্রান্তে স্থানান্তরিত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মস্তিষ্কের টিস্যুর ক্ষতি না করে ডিভাইসটি কীভাবে বের করা যাবে, তাই নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে।

ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসকে সংক্ষেপে বিসিআই বলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের শক্তি হারিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সুবিধা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা স্ট্রোকের পরবর্তী প্রভাবে ভুগছেন, এমন ব্যক্তিদের চিন্তাভাবনাকে লেখা বা শব্দের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য এই কম্পিউটার ব্যবহার করা হবে।

Link copied!