চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৫৭ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সমাজসেবা অধিদপ্তরের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৯ জানুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
মামলার আসামিরা হলেন- সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী মো. গোলাম ফারুক ও উচ্চমান সহকারী মাহমুদুল হাসান সেলিম।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বলেন, “সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মেহেদী হাসানসহ আরও কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে ৫৭ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চাকরির প্রলোভনের দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর গেন্ডারিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থী সৈয়দ মেহেদি হাসান। অভিযোগটি দুদকের শিডিউলভুক্ত হওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজকর্মী ইউনিয়ন (স্থায়ী রাজস্ব) পদে ৪৬৩টি পদসহ অন্যান্য পদের জন্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে আসামিরা প্রার্থীদের চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা নেয়।
এতে আরও বলা হয়, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সামনে আসামি মো. গোলাম ফারুক ও মাহমুদুল হাসান সেলিমের কাছ থেকে ৫৭ লাখ টাকা জব্দ করে পুলিশ।
অনুসন্ধানে ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৫, ৪২০, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করে দুদক।