'সচিবালয় ভাতা'র দাবিতে আন্দোলন এবং অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করায় ১৪ জন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। গত ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো থেকে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করে এই বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীদের মধ্যে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির, সহ-সভাপতি শাহীন গোলাম রাব্বানী ও নজরুল ইসলাম রয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরখাস্ত হওয়া অন্য কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মো. তায়েফুল ইসলাম, বিকাশ চন্দ্র রায়, ইসলামুল হক, মো. মহসিন আলী, রোমান গাজী ও আবু বেলাল; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কামাল হোসেন ও মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মিজানুর রহমান সুমন; অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিপুল রানা বিপ্লব এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নাসিরুল হক।
সচিবালয় ভাতার দাবিতে গত ১০ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় ছয় ঘণ্টা অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সচিবালয়ে তার দপ্তরে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়। পরে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে পুলিশের সহায়তায় দপ্তর ত্যাগ করেন অর্থ উপদেষ্টা।
পরদিন ১১ ডিসেম্বর কর্মচারীরা ফের আন্দোলনে নামলে কঠোর অবস্থানে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সচিবালয়ের ভেতর থেকেই কয়েকজনকে আটক করা হয় এবং পরে তাদের ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালত তাদের রিমান্ডেও পাঠিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় আদালত চার্জশিট গ্রহণ করলে অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করতে হয়।






























