• ঢাকা
  • রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ডাকসু নির্বাচনে জরিপে উঠে এলো কার কত শতাংশ ভোট


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ১২:২৩ এএম
ডাকসু নির্বাচনে জরিপে উঠে এলো কার কত শতাংশ ভোট
ডাকসু ভবন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে দুই দিনে দুটি জরিপ প্রকাশ করেছে দুটি সংগঠন। দুই জরিপেই ছাত্রশিবির এগিয়ে রয়েছে বলে উঠে এসেছে।

তবে জরিপ দুটির ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অন্য প্যানেলগুলো। তারা বলছে, এসব জরিপ নিরপেক্ষ নয়। ছাত্রশিবিরের পক্ষের লোকেরা এসব জরিপ প্রকাশ করছে। জরিপকারী একটি সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শিবিরের প্যানেল থেকে ডাকসু নির্বাচনে সদস্য পদে অংশ নিচ্ছেন।

ন্যারেটিভ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তারা ৫২৬ শিক্ষার্থীর ওপর জরিপটি করেছে। গত ৩০ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

জরিপে প্রশ্ন ছিল ডাকসু নির্বাচনের শুধু তিন শীর্ষ পদ—সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) নিয়ে। জরিপে ১৪টি হলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে তথ্য নেওয়া হয়। প্রতিটি হল থেকে তথ্য নেওয়া হয় গড়ে ৩৮ জনের কাছ থেকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংখ্যা ১৯। ছাত্রদের ১৪টি আর ছাত্রীদের ৫টি। জরিপে ছেলেদের ১০টি ও মেয়েদের ৪টি তথ্য থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া হয়নি। ভোটারদের বেশির ভাগ অনাবাসিক।


সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ন্যারেটিভের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ রুহেল। তিনি জানান, ডাকসুতে ভোট দিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৯৫ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ আগ্রহী নন।

ভিপি পদে কাকে ভোট দেবেন, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। বাকি ৭৫ শতাংশ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ভিপি পদে প্রায় ৪২ শতাংশ শিবির সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের আবু সাদিক কায়েমকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন বলে ন্যারেটিভের দাবি। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেনকে ভোট দেবেন সাড়ে ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানকে ১৪ এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের প্রার্থী উমামা ফাতেমাকে প্রায় ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন। ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদেরকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন। অন্য প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী। উল্লেখ্য, এই প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে শতাংশকে পূর্ণ সংখ্যায় দেখানো হয়েছে।

জিএস পদে কাকে ভোট দেবেন, তা ঠিক করছেন ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে শিবিরের এস এম ফরহাদকে সাড়ে ৩২, ছাত্রদলের শেখ তানভীর বারি হামিমকে ১৬, স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত চৌধুরীকে ১৬, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের আবু বাকের মজুমদারকে প্রায় ১৪ ও সাত বাম ছাত্রসংগঠনের যৌথ প্যানেল প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসুর পক্ষে ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন। অন্য প্রার্থীরা পাবেন সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট।

এজিএস পদে ভোট কাকে ভোট দেবেন, তা ঠিক করেছেন ৫৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। জরিপে দাবি করা হয়েছে, এজিএস পদেও বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন শিবিরের মুহা. মহিউদ্দীন খান। তিনি পাবেন প্রায় ৫৩ শতাংশ ভোট। ছাত্রদলের তানভীর আল হাদী মায়েদ প্রায় ১৬, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের আশরেফা খাতুন ৯, বামদের প্রতিরোধ পর্ষদের জাবির আহমেদ জুবেল ৪, সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদের ফাতেহা শারমীন (এ্যানি) ৪ এবং অন্য প্রার্থীরা ১৪ শতাংশ ভোট পাবেন।

জরিপে যে চারটি হল বাদ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো কবি সুফিয়া কামাল হল, মাস্টারদা সূর্য সেন হল, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল। জরিপকারীরা বলছেন, এসব হলে তাদের প্রতিনিধি জোগাড় করতে না পারায় তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

জরিপের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ন্যারেটিভের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ রুহেল বলেন, তারা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ থেকে জরিপ করার চেষ্টা করেছেন। তবে সব জরিপে কিছু না কিছু ব্যত্যয় থাকে।

Link copied!