• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ মুহররম ১৪৪৬

হিন্দু নারীদের সম্পত্তির অধিকার নিয়ে যা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০৫:০৮ পিএম
হিন্দু নারীদের সম্পত্তির অধিকার নিয়ে যা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “মাইনরিটি কমিউনিটিতে ছোট্ট সমস্যা আছে। আমি সংসদে এ নিয়ে অনেক কথা বলেছি। মাইনরিটি কমিউনিটি থেকে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন বিশেষ করে যারা নারী, তাদের সমস্যাটার কথা তারা বলছেন। হিন্দু সমাজে নারীরা কেন সমান সম্পত্তির অধিকার, যেটা ভারতে হয়েছে, সেটা কেন বাংলাদেশে হচ্ছে না। তারা বলছেন তাদের এখানে একটু সমস্যা আছে।”

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন-২০২২-এ ‘বৃহৎ শিল্পে নারী’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব বলেন তিনি।

টিপু মুনশি বলেন, “বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলিম। সে ক্ষেত্রে মেয়েরা যদি একজন মুসলিমকে বিয়ে করে সমাজ থেকে বেরিয়ে যায়, সম্পত্তি দিলে আমাদের যে পারিবারিক সম্পত্তি আছে, সেখানে সম্পত্তি ভাগ হবে। সেটা আমরা চাই না। আমাদের মাইনরিটি কমিউনিটির বসতি আছে, সেখানে তারা ঢুকে পড়ুক, এটা চাই না।”

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তবে সেটাও কিন্তু সমাধান করা যায়। সেখানে না দিলেও যদি মাইন্ডসেট থাকে তাদের দেব, তাহলে তাদের দেওয়া যায়।

এ সমাজে পুরুষরা নারীদের খুব বেশি সুযোগ দেবে না, নারীদের নিজেদেরই অধিকার আদায়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন টিপু মুনশি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “পুরুষ মানুষেরা খুব একটা সুবিধা নারীদের দেবে না। লড়াইটা আপনাদেরই চালিয়ে যেতে হবে। কেননা, যত ভালো ভালো কথাই বলি না এখানে দাঁড়িয়ে, সম্পত্তি ভাগের সময় সম্পত্তি একটুও ছাড়বে না। ধর্ম ওদিকে মানুক আর না মানুক, শরিয়া আইনটা তাদের কাছে একেবারেই অগ্রগণ্য।”

হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বিদায়ী হজের ভাষণে নারীদের বেশ খানিকটা এগিয়ে দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “কিন্তু সেটা তো শেষ হওয়ার কথা না। উনি তো পথ দেখিয়ে গেছেন। সেটা যদি আমরা বিশ্বাস করি সেই পথে হাঁটতে হবে। কোথাও বলা হয়নি অর্ধেক সম্পত্তি দেওয়া যাবে না। শুধু মনমানসিকতা দরকার। আমাদের বোনেরা সবাই সম্পত্তিতে সমান অধিকার পেতে পারে। দেওয়ার ইচ্ছেটাই এখানে থাকা উচিত।”

অনুষ্ঠানে কি-নোট উপস্থাপন করেন বার্জার পেইন্টস বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালি চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে লেকশোর হসপিটালিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মাহজুজা মায়সুন ও  হার স্টোরি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জারিন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!