• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

এ বছরই ট্রেনে যাওয়া যাবে কক্সবাজার


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৩, ০৫:৫৪ পিএম
এ বছরই ট্রেনে যাওয়া যাবে কক্সবাজার
ফাইল ছবি

ঝিনুকের আদলে রেল স্টেশনটি তৈরি হচ্ছে কক্সবাজারে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে স্বাধীনতার পর প্রথম ট্রেন চলবে সমুদ্র নগরী কক্সবাজারে।

জানা গেছে, রেলপথ নির্মাণের কাজও চলছে পুরোদমে। এ বছরেই ঢাকা থেকে ট্রেনে চড়ে যাওয়া যাবে কক্সবাজার। দীর্ঘ যাত্রার ভোগান্তি ছাড়াই পর্যটকরা সহজে যেতে পারবে কক্সবাজারে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা-কক্সবাজার রেল পথ ট্রায়াল শুরু করবে।

সড়ক পথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে সময় লাগে প্রায় ১১ ঘণ্টা। রেল পথ নির্মাণ শেষ হলে এই পথে যেতে সময় লাগবে অর্ধেক। একইসঙ্গে কমে আসবে যাতায়াত খরচ। ঢাকা থেকে এসি বাসে যেখানে গড়ে দুই হাজার টাকা খরচ হয়, সেখানে ট্রেনের এসি কামরায় বসে আসতে খরচ হবে এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। রেলপথ নির্মাণের ফলে বদলে যাবে কক্সবাজার। দেশের পর্যটনেও যোগ হবে নতুন দিগন্ত। অর্থনীতির চাকাও ঘুরবে আরও দ্রুত ৷ ঢাকার সঙ্গে ট্রেনের যোগাযোগ ও দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন নিয়ে উচ্ছ্বসিত কক্সবাজারবাসীও। ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ পর্যটনে নতুন সম্ভাবনা যোগ হবে ট্রেন যোগে।

জানতে চাইলে, দোহাজারী কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, “এই প্রকল্পের ৮৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। আশা করছি সেপ্টেম্বরের ১৫ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত একটি ট্রায়াল রানের চেষ্টা করবো।”

অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক বলেন, “প্রাথমিকভাবে দুই জোড়া ট্রেন চলবে। যাত্রীর চাপ দেখে পরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ঢাকা থেকে যেসব ট্রেন চট্রগ্রাম পর্যন্ত আসে, সেইসব ট্রেনের শেষ গন্তব্য হবে কক্সবাজার। এছাড়া সম্পূর্ণ নতুন একটি ট্রেন চালু হবে। তবে এখনো ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়নি।”

ঢাকা-চট্রগ্রামে আন্তনগর এসি চেয়ারের ভাড়া ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকার মতো, এখানে হয়তো ১২০০ টাকা পর্যন্ত।

সরকার দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মায়ানমারের নিকটে গুমদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়লেগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে। ২০১০ সালে এই কাজ শুরু হয়, শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। দুই পর্যায়ে এই প্রকল্প শেষ হবে।

Link copied!