রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম থাকায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার (৮ মে) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মাসের আমদানি বিল ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এই অঙ্ক গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার ছিল।
অবশ্য রিজার্ভ ধরে রাখতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি থাকায় আমদানি ব্যয় সেই অর্থে কমছে না। এ ছাড়া বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখার অন্যতম সূচকটি ধারাবাহিকভাবে কমছে। যদিও সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (৮ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জানানো হয়েছে, আন্তঃআঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিকারী সংস্থা আকুর (মার্চ-এপ্রিল) আমদানি বিল বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে এদিন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি ডলারে (২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন)।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে প্রকৃত রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ছয় বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত কয়েক মাসে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে।
আপনার মতামত লিখুন :