• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

প্রধান দুই দলের অনড় অবস্থা ‘বিপজ্জনক’ : সিইসি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৯:৩১ পিএম
প্রধান দুই দলের অনড় অবস্থা ‘বিপজ্জনক’ : সিইসি

দেশের প্রধান দুই দলের অনড় অবস্থা দেশের জন্য খুবই ‘বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, “নির্বাচন কোন ব্যবস্থাপনায় হবে সেই ইস্যুতে দেশের দুটি বড় দল এখনো অনড় অবস্থানে আছে। যদি নির্বাচন অনড় অবস্থানের মধ্যে হয় এবং কোনো একটি বড় দল অংশগ্রহণ না করে, আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বলব, নির্বাচনের মূল ফলাফলের ওপর একটি ঝুঁকি থাকতে পারে।”

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সিইসি এসব কথা বলেন। ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সঙ্গে কয়েকজন বিদেশি প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।

আশা প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আগামী কয়েক মাসে হয়তো দেখব একটা রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছে এবং সব দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আমাদের বিভিন্ন দল থেকে বলা হয়েছে, তারাও বিশ্বাস করেন একটি সমাঝোতা হবে। আমরাও আশাবাদী। আমরা আগামী নির্বাচনটা চাই অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে।”

সিইসি বলেন, “সমঝোতা ছাড়া নির্বাচনের ঝুঁকি আছে। যেমন নির্বাচন মানা হলো না, একটি ল অ্যান্ড অর্ডার সিসুয়েশন ক্রিয়েট করে ফেলা হলো। মানুষ বিপদগ্রস্ত হলো। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। আমি সেটাই বলছি। আমরা চাই না এ ধরনের পরিস্থিতি। সেজন্য আমরা বলবো, প্রধানতম দল-সরকারে অধিষ্ঠিত দলের প্রতিও আমার আহ্বান থাকবে আপনারাও আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যান বিরোধী দলগুলোকে সঙ্গে নিতে। তারাও যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনটাকে যেন অবিতর্কিতভাবে তুলে আনতে পারি। পুরো জাতির কাছে এই নির্বাচনটাকে যেন একটি গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশে ও বিদেশে সেই স্বীকৃতি লাভ করতে পারি।”

তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনটি দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে এমনটি দেখাতে চায়। তবে কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো রয়ে গেছে। বিভিন্ন পক্ষ-বিপক্ষ মূল যে বিভক্তিটা- ‘নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে’। ‘নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের আমলে হবে’। সেটার নিরসন কিন্তু এখনো হয়নি। এই প্রশ্নে কিন্তু দুটি দল এখনো অনড়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্বাচন করব সংবিধানের বিধান অনুযায়ী। যেটা বর্তমানে বহাল আছে। সেভাবে আমাদের নির্বাচন করতে হবে। একইভাবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সব রাজনৈতিক দল-প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলো যেন অতি অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করে। কারণ নির্বাচনে এবং নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ইফেকটিভ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হলে প্রত্যাশিত ভারসাম্য সৃষ্টি হবে না।”

Link copied!