ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাবিত স্কুলিং মডেল প্রত্যাহারের দাবিতে সায়েন্সল্যাব মোড়ে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সড়ক অবরোধ থেকে সরে গেছে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি সাড়ে ১১টার দিকে তারা স্বেচ্ছায় তুলে নেন। এরপর নিউমার্কেট–মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
সকালে কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল নিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিলে মিরপুর সড়কে যানচলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে অফিসগামী মানুষসহ সাধারণ পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেকেই দীর্ঘক্ষণ আটকে থেকে পরে হেঁটেই গন্তব্যের দিকে রওনা দেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ইতিহাস, স্বকীয়তা ও শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এসব সরকারি কলেজের স্বাতন্ত্র্য নতুন কাঠামোর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কোনো পূর্বপরামর্শ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এক বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীর ভাষায়, “নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো চাপিয়ে দিলে প্রশাসনিক জটিলতা বাড়বে, শিক্ষক সংকট প্রকট হবে এবং কলেজগুলোর ব্র্যান্ড পরিচয় হারিয়ে যাবে।”
এদিকে অবরোধে আটকে পড়া সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মিরপুরগামী অফিসকর্মী রহমত জানান, “কিছু হলেই রাস্তায় নেমে পড়ে—এটা খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আন্দোলন করার মানে নেই।” একইভাবে আফসানা খাতুন নামে এক পথচারী বলেন, বাস না পেয়ে তাকে বাধ্য হয়ে হেঁটে পথ চলতে হয়েছে।
ধানমন্ডি জোনের এডিসি জিসানুল হক জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তারা শান্তিপূর্ণভাবে ক্যাম্পাসে ফিরে যান। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সরকার সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, তিতুমীর কলেজসহ সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ইন্টারডিসিপ্লিনারি কাঠামোয় উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষাক্রম চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। ইউজিসির নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বর্তমানে অধ্যাদেশ জারির প্রস্তুতি চলছে।



































