• ঢাকা
  • বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২,
  • ২ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

কিটক্যাট ও চিনিতে ক্ষতিকর উপাদান: নেসলে ও মেঘনা গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
কিটক্যাট ও চিনিতে ক্ষতিকর উপাদান: নেসলে ও মেঘনা গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

‘নিম্নমানের খাদ্যপণ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাত’ করার অভিযোগে নেসলে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুইজন এবং মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার নিরাপদ খাদ্য আদালত।

আদালত অভিযোগ করেছে, এই কোম্পানিগুলো নিম্নমানের খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলেছে।

সোমবার স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথী দুটি পৃথক মামলায় এ আদেশ দেন। মামলার বাদী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান, জানিয়েছেন, নেসলে বাংলাদেশ ও মেঘনা সুগার নিম্নমানের পণ্য বাজারজাত করেছে।

নেসলে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিপাল আবে বিক্রমা এবং পাবলিক পলিসি ম্যানেজার রিয়াসাদ জামান এর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ, দেশের বাজারে আসা কিটক্যাট চকলেটে উচ্চ অ্যাসিডিটি, কম দুধের কঠিন পদার্থ ও ফ্যাট থাকার কারণে পণ্যটি মানসম্মত নয়। বিএসটিআইয়ের অনুমোদিত মানদণ্ড অনুযায়ী, ওয়েফার বিস্কুটে অনুমোদিত ১ শতাংশ অ্যাসিডিটির পরিবর্তে ২.৩২ শতাংশ, চকলেটে ৯.৩১ শতাংশ দুধের কঠিন পদার্থ এবং ১.২৩ শতাংশ দুধের ফ্যাট পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, মেঘনা সুগার রিফাইনারির কর্ণধার মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অভিযোগ, কোম্পানির চিনিতে সালফার ডাই-অক্সাইড পাওয়া গেছে, যা বিএসটিআই অনুমোদিত নয়। এছাড়া চিনির সুক্রোজের মাত্রা কম, যা প্রমাণ করে পণ্যে কৃত্রিম মিষ্টিকরণ ব্যবহার হয়েছে।

নেসলে বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী জানান, কিটক্যাটের জন্য বিএসটিআই কোনো বিশেষ স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করেনি। কিটক্যাটের সব কনসাইনমেন্ট বিসিএসআইআর পরীক্ষার মাধ্যমে ছাড়পত্র পায়। তিনি বলেন, “আমাদের পণ্য সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, তাই মানসম্মত প্রমাণিত।”

মেঘনা সুগারের পক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নিরাপদ খাদ্য আদালত মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছে ১৫ ডিসেম্বর।

Link copied!