• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ঈদ ঘিরে তৎপর নিরাপত্তা বাহিনী, কমবে যানজট


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
ঈদ ঘিরে তৎপর নিরাপত্তা বাহিনী, কমবে যানজট
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ঈদুল ফিতরে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আসন্ন ঈদুল ফিতরে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, ঈদের পূর্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, “ঈদ ঘিরে রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়াসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, বড় শহর ও বন্দরগুলোতে পুলিশের টহল থাকবে। রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন নৌপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা এবং লঞ্চ, বাস টার্মিনালে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় থাকবে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রমজানে যানজট কিছুটা বাড়ে এটা সত্য। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসলে এটা আরও বাড়ে। কারণ ঈদ শপিংয়ের জন্য মানুষ মার্কেটে যান। আবার উন্নয়ন কাজের জন্য কিছু রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ নিরাপত্তা বাহিনী সড়কে রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে যানজট কীভাবে সহনীয় রাখা যায়, সে বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। আশা করি শিগগিরই যানজট কমে যাবে।”

রাজধানীতে যানজট অনেক কারণেই হয়, এর মধ্যে একটা হলো ট্রাফিক পুলিশ রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে গাড়ি চেক করে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এখানে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন, তারা এ বিষয়ে নিশ্চয়ই নজর রাখবেন।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, “আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, এখন ঈদের মার্কেটের জন্যই বিকেলের পর থেকে সারা ঢাকা শহর অচল হয়ে যায়। শুধু এক জায়গায় নয়, আমাদের অভিজ্ঞতায় মনে হয় আর দুই চার দিনের মধ্যেই ঢাকা শহরে যানজট কমে যাবে। তবে যানজট চলে যাবে আমাদের ঘরমুখী মানুষের ঢল যেখানে নামবে সেখানে। শহরের যানজট আর চার পাঁচ দিনের মধ্যেই কমে যাবে।”

৯ এপ্রিল ছুটি হয়নি তাহলে ঘরমুখো মানুষের চাপ কীভাবে সামাল দেবেন কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ঈদের ছুটি চাঁদ দেখার ওপর নির্ধারণ হয়। ২৯ রোজা হলে ঈদ ১০ তারিখে হয়। তাহলে ৯ এপ্রিল ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড ভিড় হবে। আজকে ক্যাবিনেটে আলোচনা করে ছুটি অপশনাল করা হয়েছে। যারা প্রয়োজন মনে করবেন তারা ৯ তারিখ ছুটি নিতে পারবেন। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে অপশনাল ছুটি হিসেবে নিতে পারবে। আর ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রকিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে।”

আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, “পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বোনাস দেওয়ার বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সম্মত হয়েছে। ঈদের আগে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হবে। সাধারণ জনগণ যেন ঈদ উপলক্ষ্যে কেনাকাটা করতে পারে সেজন্য মার্কেট ও শপিং মলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। র‍্যাবের নিরাপত্তা টহল বাড়ানো হবে। মার্কেটগুলোতে রাত্রিকালীন নিরাপত্তা থাকবে।”

Link copied!