• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অস্থির ডিমের বাজার, থেমে নেই মুরগিও


বিজন কুমার
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৩, ১০:০৬ পিএম
অস্থির ডিমের বাজার, থেমে নেই মুরগিও

রাজধানীতে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে ডিমের বাজার। একই সঙ্গে বেড়েছে মুরগি ও মাছের দাম। চার দিনের ব্যবধানে ডিম প্রতি হালিতে বেড়েছে ৪ টাকা। আর সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগি ও মাছের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৫৪ টাকা, প্রতি ডজন ১৫৫ টাকা এবং প্রতি একশ ডিম ১২৫০ টাকা। আর হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, প্রতি ডজন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা এবং প্রতি একশ ডিম ১৬২০ টাকা। এছাড়াও মুরগির সাদা বর্ণের ডিম প্রতি হালির দাম ৪৮ টাকা।

এদিকে মুরগির বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালী মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়।  

মুরগি ও ডিম বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় এই দুটো পণ্যের দাম বেড়েছে। অপর দিকে, মাছ বাজারে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ইলিশের সরবরাহ কমে যাওয়ায় অন্যসব মাছের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে প্রকারভেদে বেড়েছে মাছের দামও।

বাজার ঘুরে মাছের দোকানে টাঙানো মূল্য তালিকায় দেখা যায়, প্রতি কেজি ছোট ও বড় আকারের রুই মাছের দাম ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং ছোট বোয়াল ৬০০ টাকা। এছাড়াও প্রতি কেজি পাবদা মাছের দাম ৬০০ টাকা, বেলে মাছ ১০০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১২০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৭৫০ টাকা এবং বাইম মাছ ৯০০ টাকা।

বাজারে ডিম কিনছিলেন কবির হোসেন নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, “গত সপ্তাহে লাল ডিম প্রতি হালি কিনেছি ৪৮ টাকা। আজকে এসে চমকে গেছি। সপ্তাহের ব্যবধানে ৪ টাকা হালিতে বেশি। আমাদের জন্য অনেক কষ্ট হয়ে যায় এই দাম। তাই আজকে কম করে ডিম কিনেছি।”

মনির হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “বাজারে হঠাৎ-হঠাৎ দাম বেড়ে যায়। সাধারণ মানুষের তাতে কষ্ট হয়। কয়েক দিনের ব্যবধানে আবার দাম বেশি। কয়েক দিনের ব্যবধানে আমার বেতন তো বাড়েনি। তাহলে কীভাবে চলব। কম করে কিনে বেশি দিন যায় না। আবার কিনতে হয়।”

বাড্ডা থেকে আসা মুরগির ক্রেতা রায়হান বলেন, “মুরগির দাম বেশি। কিছু করার নেই। কারওয়ান বাজারে জিনিসের দাম কম। তাই দূর থেকে আসা। এখানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। বাইরে ২০০ টাকার ওপরে।”

কথা হয় মজিবর নামের এক ডিম বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, “পাইকারি দোকানদার বলছে সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি। দাম চার দিনের ব্যবধানে বেড়েছে। এতে ক্রেতাদের কিনতে কষ্ট হচ্ছে।”

মুরগি বিক্রেতা সোহাগ বলেন, “মুরগিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। সব জিনিসের দাম তো বেশি। তাছাড়া মুরগি তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাজারে দাম বেশি। শুক্রবারে ক্রেতা বেশি হয়। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় কম।”

মাছ বিক্রেতা ফারুক বলেন, “বাজারে সব মাছের দাম বেশি। ইলিশ মাছ সরবরাহ কম থাকায় অন্য মাছের চাহিদা বেড়েছে। প্রকারভেদে মাছের দাম কেজি ২০ টাকার ওপরে বেড়েছে।”

Link copied!