অগণতান্ত্রিক কোনো অপশক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর অথবা অর্পণ দেশের জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই বলেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অবৈধ-অনির্বাচিত সরকার বলার ধৃষ্টতা দেখাতে পারেন।”
বুধবার (৩ মে) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিগত সময়ে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে এবং দেশের জনগণ তাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছে। জনগণের রায়ের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। আগামী দিনেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর থেকেই জাতির পিতা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের সকল খাতকে একটি সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন সকল খাতে ঈর্ষণীয় সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্বসভায় আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তখন দেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি সুগভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের মানুষের ওপর নেমে আসে অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন ও দীর্ঘ স্বৈরশাসনের স্টিম রোলার। মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক সকল খাত। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন এবং তার নেতৃত্বে গঠিত সরকারই হয়ে ওঠে জনগণের সরকার।”
বিবৃতিতে কাদের বলেন, “বিএনপি মহাসচিব দুর্নীতি ও অর্থপাচার নিয়ে কথা বলেছেন। এটা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। জনগণের টাকা বিদেশে পাচারের যে অপসংস্কৃতি বিএনপি প্রতিষ্ঠিত করেছিল তা নির্মূল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।”
তিনি বলেন, “সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। ধারাবাহিকভাবে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় বাংলাদেশ একের পর এক মাইলফলক অর্জন করেছে।”
আপনার মতামত লিখুন :