• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

অবরোধ ভোগান্তি বাড়িয়েছে দূরপাল্লার যাত্রীদের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৩, ০২:১৯ পিএম
অবরোধ ভোগান্তি বাড়িয়েছে দূরপাল্লার যাত্রীদের
গাবতলী থেকে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে না বাস। তাই পত্রিকা পড়ে সময় পার করছেন দুই যাত্রী। ছবি-সংবাদ প্রকাশ

বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর একের পর এক অবরোধ-হরতালে যাত্রী সংকটে পড়েছে দূরপাল্লার বাস। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারছে না। এতে ভোগান্তি যেমন বেড়েছে তেমনি সময়ও নষ্ট হচ্ছে যাত্রীদের।

রাজধানীর গাবতলী বাসটার্মিনালে দেখা গেল, মুখে বিরক্তির ছাপ নিয়ে বসে আছেন দুই যাত্রী। একজনের হাতে বই আরেক জনের হাতে পেপার।

তাদের মধ্যে একজনের নাম নাজমুল হুদা। মেহেরপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সোমবার (৪ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টায় টার্মিনালে এসে টিকিট কেটে বসে আছেন। আড়াই ঘণ্টা বসে থাকার পর বিরক্ত হয়ে বাস থেকে বেড়িয়ে এসে বসে পড়েছেন টার্মিনালে। অবসর সময়টুকু পেপার পড়েই পার করছেন তিনি।

আলাপচারিতায় আক্ষেপ নিয়ে নাজমুল বলেন, “সকাল সাড়ে ৭ টায় টার্মিনালে এসে বসে আছি। চালক ১০ টায় ছাড়বে বলেছে। এখন প্রায় সাড়ে ৯ টা বাজে। অবরোধের কারণে মানুষ ঠিকমতো বের হচ্ছে না। আর বাসগুলো পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়াতে সময় মতো ছাড়ছে না। কেন জানি মনে হচ্ছে ১০ টাতেও বাস ছাড়তে পারবে না। কিন্তু আমাকে তো সময় মতো যেতে হবে। আমার সময়ের যেনো কোনো মূল্য নেই। বিরক্ত লেগে গেছে বসে থাকতে থাকতে।”

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রত্যাশা করে নাজমুল আরও বলেন, “হরতাল-অবরোধে ভোগান্তি বেড়েছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে অন্তত তাদের বসা উচিত। যাতে দেশের মানুষ শান্তি ও নিরাপদে থাকে।”

শুধু নাজমুল হুদা নয়। পাশে বসে থাকা যাত্রীর কথাও একই রকম। তাদের মতে, এসব কর্মসূচি মেনে চলার মতো নয়, শুধু সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ানোর জন্য।

গত এক মাসের বেশি সময় ধরে একের পর এক হরতাল, অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এতে দেখা যাচ্ছে, অনেকটা স্বাভাবিক ভাবেই চলাচল করছে যাত্রীসেবার বাসগুলো। 

অন্যদিকে যাত্রীদের কাছে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো বড় আতঙ্কের। এজন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। যে কারণে যাত্রী সংকটে পড়ছে দূরপাল্লার বাসগুলো।

নাজমুল হুদার বাসে বসে থাকা সোহানুর বলেন, “এখানে দেড় ঘণ্টা ধরে বসে আছি। সকালে এসে যেসব গাড়ি পেয়েছি, সেগুলো চাহিদা অনুযায়ী যাত্রী পেলেই সময় মতো ছাড়বে। তাই বসে বসে বই পড়ছি। আর কত ভালো লাগে? হরতালের কারণে ভোগান্তি বেড়েছে। যাত্রী কম থাকায় বাসগুলো সময় মতো ছেড়ে যেতে পারছে না।”

গালিব নামের একজন প্রবাসী বলেন, “বিদেশে কাজ করি। দেশে এসে হরতাল-অবরোধের কারণে ঠিক সময়ে বাড়ি যেতে পারছি না। সেই ভোর বেলা থেকে বসে আছি। অনেকেই বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাগুলো বলছে। নিজের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে। তারপরে জিনিসপত্র ধরে টানাটানি করছে। খুবই বিরক্তি লাগছে। দ্রুত বাড়ি যেতে চাইলেও পারছি না।”  

Link copied!