• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫
কাদা-পানিতে থৈ থৈ

দুর্ভোগ যেন নিত্যসঙ্গী কারওয়ান বাজারে


জাহিদ রাকিব
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৮:৩৩ পিএম
দুর্ভোগ যেন নিত্যসঙ্গী কারওয়ান বাজারে
কারওয়ান বাজারের গলিতে জমে থাকা পানি। ছবি-সংবাদ প্রকাশ

প্রতি বর্ষাতেই ভুগতে হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা আর পুরোনো ড্রেন সংস্কার না হওয়াটাই দুর্ভোগের মূল কারণ। সামান্য বৃষ্টিতেই এখানকার সব সড়কে পানি জমে যায়। নানা রকমের পণ্যবর্জ্য আর ভেসে আসা উন্নয়ন কাজের মাটির মিশ্রণে তৈরি হয় কাদাপানি। পানি-কাদায় একাকার হয়ে যায় কারওয়ান বাজারের সব সড়ক। ব্যবসায়ী-ক্রেতা, পথচারীসহ এই বাজারে আসা মানুষের দুর্ভোগের যেন অন্ত থাকে না।

পথচারীদের অভিযোগ, বাজারের ময়লা আবর্জনা জমে যেমন ড্রেন লাইন বন্ধ হয়েছে, তেমনি বাজার ঘেঁসে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ চলায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা যায়, একুশে টিভির সামনের সড়ক থেকে শুরু করে রেলগেট, কাঠপট্টিসহ ভিতরের প্রতিটি সড়কে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এখানে বৃষ্টির সময় এক রকমের দুর্ভোগ, আবার বৃষ্টি থামলে আরেক দুর্ভোগ।
বৃষ্টির সময় পয়ঃবর্জ্য পানিতে ভেসে আসে সড়কে। চলার জো থাকে না কারোরই। তখন এক বিশ্রি পরিবেশ তৈরি হয়। বৃষ্টির পর এসব বর্জ্য সড়কের মাটি-পানিতে মিশে দুর্গন্ধময় এক পরিবেশ তৈরি করে। তখন নাক চেপে চলতে হয় সবাইকে। এমন দুরাবস্থা এই বাজারের সব গলিতেই।

এখানকার ফল ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাগুলোতে পানি আর কাদা জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পানি নিষ্কাশনের জন্য নালার ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। সড়কগুলোর এমন অবস্থার কারণে যানবাহন তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষই প্রবেশ করতে চান না বাজারে।”

সিএনজি চালক এরশাদ আলী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “জলাবদ্ধতা খুব ভয়ের, কারণ যেকোনো সময় সিএনজির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। বেশি পানি জমে গেলে ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।”

কারওয়ান বাজারের সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করেন এনামুল হক। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “অল্প বৃষ্টিতেও কারওয়ান বাজারের পুরো এলাকা পানিতে থৈ থৈ করে। এরমধ্যে কাঠপট্টি ও বাজারের ভিতরের সড়কে বেশি হয় এই সমস্যা। পানি নামতে সময় লাগে কয়েক ঘণ্টা। বেশি সমস্যা হয় অল্প বৃষ্টিতে, তখন কাদা আর পানি একাকার হয়ে যায়।

বাজারের দুরাবস্থা নিয়ে স্থানীয় ২৬ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছর ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু প্রতিদিনের কাঁচামালের আবর্জনা বৃষ্টির সঙ্গে ড্রেনে গিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এ কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।”

তিনি আরও বলেন, “কারওয়ানবাজারের পূর্বপাশ দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও সড়কের বেশ কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হলে এখানকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও সড়কের কাজ সংস্কার শুরু হবে।” 

Link copied!