• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

নির্ধারিত দামের বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে চিনি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৩, ০৬:৪৩ পিএম
নির্ধারিত দামের বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে চিনি

সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি খোলা চিনির মূল্য ১০৪ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির মূল্য ১০৯ টাকা। গত ৬ এপ্রিল থেকে এ মূল্য নির্ধারিত হয়। কিন্তু বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি প্রতি। অর্থাৎ সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে ২৬ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দামের এ চিত্র দেখা যায়।

সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, অনেক দোকানে চিনি নেই। চিনি না রাখার কারণ জানতে চাইলে অনেক ব্যবসায়ী সংবাদ প্রকাশকে জানান, সরকার চিনির দাম কমানোর পরই বাজারে চিনির সরবরহ কমে গেছে। যা পাওয়া যাচ্ছে তার দামও বেশি। বেশি দামে আনতে গেলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। তখন ক্রেতাদের নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। সেজন্য তারা চিনি রাখেন না। দাম কমলেই তারা চিনি বিক্রি করবেন।

চিনি আছে কি না জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের ইয়াসিন স্টোরের ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন বলেন, “কোম্পানি চিনি দেয় না। আবার যারা বেশি দামে বিক্রি করতেছে, তাদের কাছ থেকে এনে বেশি দামে এনে বিক্রি করতে চাইলে জরিমানা হয়। সেজন্য চিনি রাখি না। দাম কমলে আবারো চিনি বিক্রি করব।”

ক্রেতাদের সঙ্গে দাম নিয়ে ঝামেলা এড়াতে চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন আরেক ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, “দাম শুনলেই ক্রেতারা বলেন সরকার দাম নির্ধারণ করেছে ১০৪ টাকা। আপনারা বেশি নিচ্ছেন কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাদের বুঝানো যায় না। তাই চিনি আনাই ছেড়ে দিয়েছি।”

এ রকম করে কারওয়ান বাজারে প্রায় ৮-৯টা দোকানে চিনির খোঁজ করা হলে ২টি দোকানে চিনি পাওয়া যায়। যার একটিতে খোলা চিনি আরেকটিতে প্যাকেট জাত লাল চিনি পাওয়া যায়। আরেকটাতে সকাল পর্যন্ত চিনি ছিল এবং এই ব্যবসায়ী ১৩০ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি করেছে। প্যাকেটজাত লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা প্রতি কেজি।

১২৮ টাকা কেজি প্রতি চিনি কিনে এনেছেন কারওয়ান বাজারে আরেক বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন। তিনি কারওয়ান বাজারের দুতলার খুচরা মার্কেট থেকে এ মূল্যে এনেছেন। রশিদ দেখতে চাইলে তিনি বলেন, “রশিদ দেয় না। আগে যখন নির্ধারিত দামে কিনতে পারতাম তখন রশিদ দিত। এখন রশিদ চাইলে বলে রশিদ ছাড়া নিলে নিবেন, না নিলে নাই। তাই আমরা বাধ্য হয়েই রশিদ ছাড়া মাল আনি।”

কারওয়ান বাজারের বড় খুচরা বিক্রেতা আমিন ট্রেডার্সের বিক্রেতার কাছে দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ ছয় হাজার ১০০ টাকা বস্তা চিনি বিক্রি করছি।” নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কেন বিক্রি করছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এইটা মিল মালিককে জিজ্ঞেস করেন। তারা চিনি দিচ্ছে না কেন? তারা কম দামে দিলে আমাদের কমে বিক্রি করতে তো সমস্যা নাই।”

একইভাবে রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা তেজগাঁওয়ে ১৩০ টাকা কেজি চিনি বিক্রি হতে দেখা যায়। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে কেন জানতে চাইলে তেজগাঁওয়ের পশ্চিম নাখালপাড়ার খায়ের স্টোরের এক বিক্রেতা বলেন, “বাজারে চিনি নাই। এখন যা পাই, আর আমাদের আগে যা ছিল এগুলো মিলিয়েই বিক্রি করছি।”

Link copied!