• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নোবেল পুরস্কার পেলেই কি কেউ আইনের ঊর্ধ্বে : তথ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩, ০৩:৫৫ পিএম
নোবেল পুরস্কার পেলেই কি কেউ আইনের ঊর্ধ্বে : তথ্যমন্ত্রী

নোবেল পুরস্কার পেলেই কি কেউ আইনের ঊর্ধ্বে, এমন মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বেদনাতুর ১৯৭৫ আগস্টের শহীদদের আলেখ্য’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাকি বলেছেন, “তাদের (বিএনপি) আন্দোলন ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। আমি ড. ইউনূসের প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, নোবেল পুরস্কার পেলেই কি কেউ আইনের ঊর্ধ্বে? দেশের রাষ্ট্রপতি হলে কি কেউ আইনের ঊর্ধ্বে? হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তাকেও কয়েক বছর জেলখানায় কাটাতে হয়েছে৷ এ দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। তিনিও শাস্তি ভোগ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকেও কিছুদিনের জন্য জেলখানায় যেতে হয়েছে।”  

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, “তারা এখন বড় বড় কথা বলে। রাত-বিরাতে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। কেউ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার সমর্থন করেনি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আসছেন, আবার রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছুটে আসছেন আগামীকাল। এতেই প্রমাণিত হয়, বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের সঙ্গে আছে।”

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশে নয়, বরং বাংলাদেশ, জাতি, রাষ্ট্রকে হত্যার উদ্দেশে ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড মানব ইতিহাসের জঘন্য হত্যাকাণ্ড। কারণ এই হত্যাকাণ্ডে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুকেও রেহাই দেওয়া হয়নি।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু যদি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করতেন, তাহলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের পর আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নানা কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে দেশভাগের পর তিনি পূর্ববাংলাকে স্বাধীন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান দুই কুশীলব খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান। এই দায় তারা কখনো এড়াতে পারবে না। এই জাতির দুর্ভাগ্য, যাদের হাতে রক্ত, যারা খুনের ওপর দাঁড়িয়ে, রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা রাজনৈতিক দল গঠন করেছে এবং সেই রাজনৈতিক দল নাকি আবার ভোটও পায়।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের মেজো কন্যা হুরুন্নেছা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, শহীদ আব্দুল নঈম খানের বড় বোন সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, শহীদ কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদের কন্যা আফরোজা জামিল, শহীদ সুলতানা কামালের ছোট ভাই গোলাম আহমেদ মৃধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের নাট্যবন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা ম হামিদ প্রমুখ।

Link copied!