মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে দেশের ইন্টারনেট-সেবা। এই সেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে অন্তত এক সপ্তাহ লাগবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন- বিআইএসপিএ।
বিআইএসপিএ সভাপতি এমদাদুল হক জানান, খাজা টাওয়ারে বড় দুটি ডেটা সেন্টার রয়েছে। যেগুলোর সঙ্গে ১০-১২টি আইআইজি যুক্ত রয়েছে। যাদের থেকে কয়েক শ আইএসপি সেবা নিয়ে থাকে। যে কারণে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও নিরাপত্তার কারণে এখনই ভবনের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে কারণে নিজেদের কাজ করতে পারছে না বিআইএসপিএ।
সংগঠনটির সভাপতি বলেন, “আমাদের অ্যাকসেস না দিলে, ইকুইপমেন্ট বের করতে না দিলে তো এটা লাইভ করতে সময় লাগবে। ওই ভবন যদি আমরা সচল করতে না পারি, তাহলে ইন্টারনেট-সেবা পুরোপুরি চালু হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। আমাদের আজ অ্যাকসেস দিলে আমরা আজই লাইভ করে ফেলব।”
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে মহাখালীর ১৪ তলা খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট সেখানে টানা কাজ করে। শুক্রবার সকাল পৌনে নয়টায় ভবনটি অগ্নিমুক্ত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার আগুন লাগার পর রাতেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকার অফিস ও বাসায় ইন্টারনেট সেবাদাতা বিঘ্নিত হওয়ার খবর আসতে শুরু করে। কোথাও কোথাও গতি ধীর হয়ে পড়েছে। বহুতল এ ভবনে গ্রামীণফোনসহ অনেকগুলো কোম্পানির ডেটা সেন্টার ও সার্ভার রয়েছে।