• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব প্রযুক্তি বাজারেও


বিজন কুমার
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩, ০৯:৫৭ পিএম
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব প্রযুক্তি বাজারেও

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফলে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি খাত। যে খাতের অপরিহার্য উপাদান কম্পিউটার, ল্যাপটপ। তবে বর্তমানে ভালো নেই রাজধানীর কম্পিউটার সামগ্রীর ব্যবসায়ীরা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখীর প্রভাবসহ নানা প্রতিকূলতায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড সংলগ্ন মাল্টিপ্লান মার্কেট। কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ এর আনুষঙ্গিক সামগ্রীর নির্ভরযোগ্য স্থান হিসেবে বেশ কদর রয়েছে এই মার্কেটের। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, ছুটির দিনেও ক্রেতা সমাগম নেই এ মার্কেটে।

মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে এ্যাপল, আসুস, ডেল, স্টারটেকের মতো স্বনামধন্য কোম্পানির ল্যাপটপ ও কম্পিউটার সামগ্রী রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তির এসব সামগ্রীর দাম বাজারে বেড়েছিল। পরবর্তী সময়ে কিছুটা দাম কমলেও পূর্বের পরিবেশ ফেরেনি ব্যবসায়।

ব্যবসার এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণ হিসেবে আমদানি জটিলতা, ডলার সংকট, নিত্য পণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখীকে দায়ী করছেন কেউ কেউ। অনেক ব্যবসায়ীর শঙ্কা, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ব্যবসা চলতে থাকলে, হুমকির মুখে পড়তে পারে দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি খাত।

সামিরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয় এই মার্কেটে। তিনি আপডেট কালেকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তিনি বলেন, “বর্তমানে ব্যবসা খুব একটা ভালো নেই। ডলার সংকটের কারণে ব্যাংক আগের মতো এলসি করতে দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে আগের তুলনায় বিক্রির পরিমাণ কমেছে। এতে দেখা যায়, যাদের বাজেট ছিল ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু দোকানে এসে কিনছেন ২৫ হাজার টাকায়। ফলে তাদের কাজের গতি কিছুটা কমবে। এতে তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়নের যে ধারা তাতে কিছুটা বাধা পড়বে।”

মাল্টিপ্লান সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আসরাফুজ্জামান বলেন, “কম্পিউটার বলেন আর ল্যাপটপ বলেন, এসব জিনিস হচ্ছে শৌখিনতার জিনিস। প্রতিদিন কেউ এসব জিনিস কেনেন না। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যে হারে বাড়ছে, সে হারে কিন্তু আয় বাড়েনি। ফলে শৌখিন ব্যক্তিরাও এখন চিন্তা করেন তাদের আয়ে নিত্য পণ্যের চাহিদা মেটাতে। এসব কম্পিউটার এক্সসরিজ পরে কিনলেও হবে।”

দিলীপ নামের এক বিক্রেতা বলেন, “বর্তমানে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। আবার কিছু পণ্যের দাম কমেছে। তবে এটা সত্য করোনার পর যে হারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছিলো, তারপরে কমেছে। কিন্তু আগের মত কমেনি। ফলে আগের মত পরিবেশও নেই। এখন কর্মচারীদের বেতন দিতে সমস্যা হয়। কিছু করার নেই পরিস্থিতির শিকার।”  

Link copied!