হাছান জমাদ্দার ওরফে ল্যাংড়া হাছান ডাকাতির আগের দিন ভারত থেকে এসে ডাকাতি করে আবার ভারতে চলে যেতেন বলেন জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ। তিনি আরও বলেন, “হাছান ভারতীয় আধার কার্ড ব্যবহার করেন।”
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, “হাছান ভারতে বসেই নিয়ন্ত্রণ করতেন ডাকাত চক্র। তিনি সেখানে বসেই ঠিক করেন কোন দোকানে ডাকাতি করা হবে। পরে ওই দোকানের আশপাশে বাসা ভাড়া নেওয়া হতো। ডাকাতির কয়েকদিন আগ থেকেই লোক দিয়ে দোকান পর্যবেক্ষণ করা হতো।”
ল্যাংড়া হাছানসহ ওই ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা হাজীপাড়া বৌ-বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো হাছান জমাদ্দার অরফে ল্যাংড়া হাছান (৩৪), আরিফ (২৬), আইনুল হক, ভোলা (৪২), সাইফুল ইসলাম মন্টু (৪৫), আনসার আলী (৫০) ও শাহিন (৩৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, পাঁচটি চাপাতি ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
হাছানকে অনেক দিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ দাবি করে মহানগর ডিবি প্রধান বলেন আরও বলেন, “সে ২০০৮ সাল থেকে এই পর্যন্ত ২৫-৩০টি সোনার দোকানে ডাকাতি করেছে। সারা দেশ থেকে সোনার দোকানে ডাকাতি করে এই চক্র হাজার হাজার ভরি সোনা হাতিয়ে নিয়েছে। সেগুলো কোথায় বিক্রি করেছে, সেটাও স্বীকার করেছে হাছান।”
হারুন অর রশীদ বলেন, “রাজধানীর তাঁতি বাজারে একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে, যারা এই চোরাই সোনা গলিয়ে বিক্রি করে দেয়। দোকান মালিক সমিতিকে বলবো, যারা এসব চোরাই সোনা কেনাবেচা করে তাদের যেন প্রশ্রয় না দেয়। তারাই সোনা কেনার কারণে ডাকাত চক্রটি এসব কাজ করে যাচ্ছে। তাঁতি বাজারে যেসব দোকানে চোরাই সোনা বিক্রি করতো সেসব দোকানের নাম পেয়েছি। রিমান্ডে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে ডাকাত চক্রের সদস্যদের নিয়ে ওই সব দোকানে অভিযান চালানো হবে।”