শ্রম ও কর্মস্থান উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার মালিকের যদি ব্যাংক হিসেব নেওয়া হয়, তাহলে ২০০-৩০০ কোটি টাকার কমে না। কারণ টাকা নিয়েছে এখন ব্যাংকে টাকা জমা দেয় না। এজন্য তারা কারখানা চালাতে পারছে না। টাকা নিয়ে বেশিরভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছে।”
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসিতে) সামরিক বাহিনীর এক সেমিনারে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা নিয়ে ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “যে সমস্ত কারখানা বন্ধ হয়েছে। সেগুলো বন্ধ হওয়ার মতোই ছিল। ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে, কিন্তু শ্রমিকদের বেতন দেয়নি। কোনো কাজও করে নাই।
শ্রম ও কর্মস্থান উপদেষ্টা বলেন, “একটা কোম্পানি এ পর্যন্ত আমি পেলাম না, যারা ৩০০ কোটি টাকার নিচে ঋণখেলাপি আছে। তার পরও ব্যাংক টাকা দিয়েছে। পলিটিক্স কালেকশনে ব্যবসা করলে এ রকম হবে।”
এক্সপোর্ট বৃদ্ধি ও শ্রমিকদের চাকরি নিয়ে ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “সব গার্মেন্টস তো বন্ধ হলে ১৭ শতাংশ এক্সপোর্ট হতো না এবং চিটাগাং পোর্ট কুলাতে পারছে না। যে কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছে, সেগুলো সাব-কনট্রাকে কাজ করাত শ্রমিকদের দিয়ে। তাই খুব ডিফিকাল্ট নেই। তবে অনেক বেকারত্ব বেড়েছে। আবার নতুন করে অন্য কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছে শ্রমিকরা। বেক্সিমকো যে বন্ধ হয়েছে, সেসব কারখানার শ্রমিকরা চিটাগাংসহ অন্য জায়গায় কাজে যোগ দিয়েছে।”
এসময় অনুষ্ঠানে সাময়িক বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।