মুরগি-ডিম-সবজিতে স্বস্তি, ফের বাড়ল পেঁয়াজের দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৩, ১২:২৪ পিএম
মুরগি-ডিম-সবজিতে স্বস্তি, ফের বাড়ল পেঁয়াজের দাম

বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানির খবরে দাম কমলেও এখন আবার বাড়ছে। গতকাল দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা বিক্রি হলে এক দিনের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি। এদিকে বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল থাকলে হঠাৎ করে পোলাওয়ের চাল কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা ক্রেতার নাগালের মধ্যে। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগি ও ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে।

শুক্রবার (৯ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

গত সপ্তাহে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির খবরে কমতে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। চার দিনে কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমে যায় এ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি। কিন্তু হঠাৎ আবার বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হয়েছে। সেই পেঁয়াজ আজ কারওয়ান বাজারে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতীয় লাল পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা কেজিতে। খুচরা বাজারে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা সুলতানা জাহান নামের এক গৃহিণী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমাদের দুর্দশার শেষ নেই। আয় বাড়েনি অথচ সবকিছু ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। মাছ, মাংস, ডিম থেকে শুরু করে সবজির বাজারেও দাম বাড়তির দিকে। দ্রব্যমূল্যের এত দাম যে যা কিনতে বাজারে আসছি তার কিছু কিনেছি আর বাকিগুলো না কিনেই বাসায় ফিরতে হচ্ছে।”

বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে। কাঁচা মরিচ কেজি ১২০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন মানভেদে কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, করলা কেজি ৬০ টাকা, বরবটি কেজি ৪০ টাকা, পেঁপে কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৪০ টাকা, কাঁকরোল কেজি ৫০ টাকা, ঝিঙা ও চিচিঙ্গা কেজি ৬০ টাকা এবং কচুরমুখী কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি দরে। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।

মুরগি ব্যবসায়ী ইসলাম হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “কোরবানির ঈদ আসায় সব ধরনের মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে। সামনে দিনে আরও কমবে দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমছে সব ধরনের মুরগির দাম। ডিমেও ডজন প্রতি কমছে ১০ টাকা।”

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সুমন হোসেন সংবাদ প্রকাশ বলেন, “নিত্যপণ্যের চড়া মূল্যের বিরূপ প্রভাব পড়েছে আমাদের মতো দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জাঁতাকলে অসহায় মানুষের দুঃখের কথা বলার কোনো জায়গাও নেই আমাদের।

এদিকে মাছের বাজারে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সব মাছের আকারভেদে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। তেলাপিয়া ও পাঙাশ আকারভেদে কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের নলা রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, দেড় কেজি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি, দুই কেজি ওজনের বেশি রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। মাঝারি আকারের কাতল কেজি ৩৫০ টাকা, একটু বড় আকারের কাতল কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছ কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, টেংরা মাছ কেজি ৭০০ টাকা, চিংড়ি মাছ কেজি (আকারভেদে) ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Link copied!