‘বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার পরিবেশ দুটিই থাকা উচিত’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “বুয়েটে যেমন অবশ্যই ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত, তেমনি শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।”

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি এবং ছাত্রলীগ যুক্ত উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে, স্বাধীনতা যুদ্ধে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে এবং এরশাদ এবং জিয়া যখন আমাদের গণতন্ত্রকে শিকল পরিয়েছিল, গণতন্ত্রকে বন্দী করেছিল সেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখেছে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতিতে অবদান রেখেছে, সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক দেশ বরেণ্য রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে। তারাই দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে, দিচ্ছে। কিন্তু আমি অবাক সেখানে একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয় এবং ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আবার সেখানে আন্দোলনও হয়। এটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নয় এবং  হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেই আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই আদেশ বাতিল করেছে।”

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, “ছাত্রলীগকে বলব, সেখানে যেন নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি হয়, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি যেন না ঢুকে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতা তৈরি হয়।”

এ সময় নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি ১৫ বছর বয়সে ক্লাস টেনে পড়ার সময় থেকে ছাত্রলীগের কর্মী, ১৬ বছর বয়সে  ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হয়েছি।”

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বস্তুগত উন্নয়নের সঙ্গে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুকন্যা বহুকল্যাণ ভাতা চালু করেছেন। সেই ব্রত ধারণ করেই আজকে ছাত্রলীগ দুস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য তাদের অভিনন্দন জানাই।”